পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫০ রবীন্দ্র-রচনাবলী এরই মাঝে চারি পাশে কোথা হতে ভেসে আসে ওই মুখ, ওই হাসি, ওই দুনিয়ান । সদা শুনি কাছে দূরে মধুর কোমল সুরে তুমি মোরে ডাকো— তাই ভাবি, এ জীবনে আমি যাহা পাইয়াছি তুমি পেলে নাকে । কোনোদিন একদিন আপনার মনে, শুধু এক সন্ধ্যাবেলা, আমারে এমনি করে ভাবিতে পারিতে যদি বসিয়া একেলা এমনি সুদূর বঁাশি শ্রবণে পশিত আসি, বিষাদকোমল হাসি ভাসিত অধরে, নয়নে জলের রেখা এক বিন্দু দিত দেখা, তারি ”পরে সন্ধ্যালোকে কঁাপিত কাতরে ভেসে যেত মনখানি কনকতরণীসম গৃহহীন স্রোতে— শুধু একদিন-তরে আমি ধন্য হইতাম তুমি ধন্য হতে । তুমি কি করেছ মনে দেখেছ, পেয়েছ তুমি সীমারেখা মম ? ফেলিয়া দিয়াছ মোরে আদি অন্ত শেষ করে পড়া পুঁথি -সম ? নাই সীমা আগে পাছে, যত চাও তত আছে, যতই আসিবে কাছে তত পাবে মোরে । আমারেও দিয়ে তুমি এ বিপুল বিশ্বভূমি এ আকাশ এ বাতাস দিতে পারো ভরে । আমাতেও স্থান পেত অবাধে সমস্ত তব জীবনের আশা । একবার ভেবে দেখো এ পর্যানে ধরিয়াছে কত ভালোবাসা । সহসা কী শুভক্ষণে অসীম হৃদয়রাশি দৈবে পড়ে চোখে । দেখিতে পাওনি যদি, দেখিতে পাবে না। আর, মিছে মারি বকে ! আমি যা পেয়েছি তাই সাথে নিয়ে ভেসে যাই, কোনোখানে সীমা নাই ও মধু মুখের