পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V)V8 রবীন্দ্র-রচনাবলী এক কালে বিশ্ব যেন ছিল রে বৃহৎ, তখন মানুষ ছিল মানুষের মতো, আজ যেন এরা সব ছোটো হয়ে গেছে । দেখি হেথা বসে বসে সংসারের খেলা । কৃষকগণের প্রবেশ গান হেদে গো নন্দরানী, আমাদের শ্যামকে ছেড়ে দাও । আমরা রাখাল-বালক দাড়িয়ে দ্বারে, আমাদের শ্যামকে দিয়ে যাও । হেরো গো প্ৰভাত হল, সুয্যি উঠে আমরা শ্যামকে নিয়ে গোষ্ঠে যাব ওগো, পীত ধড়া পরিয়ে তারে বালকপুত্র-সমেত স্ত্রীলোকের প্রবেশ স্ত্রীলোক । (ব্রাহ্মণ পথিকের প্রতি) হ্যােগা দাদাঠাকুর, এত ব্যস্ত হয়ে কমনে চলেছ ? ব্ৰাহ্মণ । আজ শিষ্যবাড়ি চলেছি নাতনি। অনেকগুলি ঘর আজকের মধ্যে সেরে আসতে হবে, তাই সকাল সকাল বেরিয়েছি। তুমি কোথায় যােচ্ছ গা ? স্ত্রীলোক । আমি ঠাকুরের পুজো দিতে যাব। ঘরকন্নার কাজ ফেলে এসেছি, মিনসে আবার রাগ করবে। পথে দু দণ্ড দাড়িয়ে যে জিগগেস পড়া করব তার জো নেই। বলি দাদাঠাকুর, আমাদের ও দিকে যে একবার পায়ের ধুলো পড়ে না ! ব্ৰাহ্মণ । আর ভাই, বুড়োসুড়ো হয়ে পড়েছি, তোদের এখন নবীন বয়েস, কী জানি পছন্দ না হয় | যার দাত পড়ে গেছে, তার চালকড়াই ভাজার দোকানে না যাওয়াই ভালো । স্ত্রীলোক । নাও, নাও, রঙ্গ রেখে দাও । আর-এক স্ত্রীলোক । এই-যে ঠাকুর, আজকাল তুমি যে বড়ো মাগগি হয়েছ।