পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vbr8 সন্ন্যাসী । বালিকা । अझार्ने । বালিকা । সন্ন্যাসী । রবীন্দ্র-রচনাবলী একাদশ দৃশ্য পথে সন্ন্যাসী এসেছি অনেক দূরে— আর ভয় নাই । পায়েতে জড়ালো লতা, ছিন্ন হয়ে গেল । সেই মুখ বার বার জাগিতেছে মনে । সে যেন করুণ মুখে মনের দুয়ারে বসে বসে কঁদিতেছে, ডাকিতেছে সদা ! যতই রাখিতে চাই দুয়ার রুধিয়া— কিছুতেই যাবে না সে, ফিরে ফিরে আসে, একটু মনের মাঝে স্থান পেতে চায় । নিৰ্ভয়ে গা ঢেলে দিয়ে সংসারের স্রোতে এরা সবে কী আরামে চলেছে ভাসিয়া । যে যাহার কাজ করে, গৃহে ফিরে যায়, ছোটাে ছোটাে সুখে দুঃখে দিন যায় কেটে । আমি কেন দিবানিশি প্ৰাণপণ করে যুঝিতেছি সংসারের স্রোত-প্রতিকূলে । পেরেছি কি এক তিল অগ্রসর হতে ! বিপরীতে মুখ শুধু ফিরাইয়া আছি, উজানে যেতেছি বলে হইতেছে ভ্ৰম, পশ্চাতে স্রোতের টানে চলেছি ভাসিয়া— সবাই চলেছে যেথা ছুটেছি। সেথাই ! দরিদ্র বালিকার প্রবেশ ওগো, দয়া করো মোরে, আমি অনাথিনী । সহসা চমকিয়া উঠিয়া কে রে তুই ? কে রে বাছা ? কোথা হতে এলি ? অনাথিনী ? তুইও কি তারি মতো তবে ? তোরেও কি ফেলে কেউ গিয়েছে পলায়ে ? বৎসে, কাছে আয় তুই— দে রে পরিচয় । অন্ধ বৃদ্ধ মাতা মোর রোগশয্যাশায়ী । আসিয়াছি। এক-মুঠ ভিক্ষান্নের তরে। আহা বৎসে, নিয়ে চল কুটিরেতে তোর । রুগণ তোর জননীরে দেখে আসি আমি ।