পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাত জন্মে খেতে পান না । প্রকৃতির প্রতিশোধ \©br(፩ কতকগুলি সন্তান লইয়া একজন স্ত্রীলোকের প্রবেশ স্ত্রী। দেখ দেখি, মিশ্রদের বাড়ির ছেলেগুলি কেমন রিষ্টপুষ্ট ! দেখলে দু-দণ্ড চেয়ে থাকতে ইচ্ছে করে- আর এঁদের ছিরি দেখো-না, যেন বৃষকাষ্ঠ দাঁড়িয়ে আছেন, যেন সাত কুলে কেউ নেই, যেন সন্তানগণ । তা আমরা কী করব মা ! আমাদের দোষ কী ? মা । বললেম- বলি, রোজ সকালে ভালো করে হলুদ মেখে তেল মেখে স্তান কর, ধাত পোষ্টাই হবে, ছিরি ফিরবে— তা তো কেউ শুনবে না ! আহা, ওদের দিকে চাইলে চােখ জুড়িয়ে যায়, রঙ যেন দুধে আলতায়— সন্তানগণ । আমাদের রঙ কালো তা আমরা কী করব ? মা ! তোদের রঙ কালো কে বললে ? তোদের রঙ মন্দ কী ? তবে কেন ওদের মতো দেখায় না ? રે ||૨૯ [প্ৰস্থান সন্ন্যাসীর প্রবেশ । একটি কন্যা লইয়া স্ত্রীলোকের প্রবেশ সন্ন্যাসী । স্ত্রী । সন্ন্যাসী । शैी ! সন্ন্যাসী । ईी । সন্ন্যাসী । भी । সন্ন্যাসী । क्षेी । সন্ন্যাসী । কোথায় চলেছ বাছা ? প্ৰণাম ঠাকুর ! ঘরেতে যেতেছি। মোরা । সেথায় কে আছে ? শাশুড়ি আছেন মোর, আছেন সোয়ামী, শক্ৰমুখে ছাই দিয়ে দুটি ছেলে আছে। কী কাজে কাটাও দিন বলে মোরে বাছা ! ঘরকন্না-কাজ আছে, ছেলেপিলে আছে, গোয়ালে তিনটি গোরু তার করি সেবা, বিকেলে চরকা কাটি মেয়েটিরে নিয়ে । সুখেতে কি কাটে দিন ? দুঃখ কিছু নেই ? দয়ার শরীর রাজা প্ৰজার মা-বাপ, কোনো দুঃখ নেই প্ৰভু ! রামরাজ্যে থাকি । এটি কি তোমারি মেয়ে বাছা ! शै ठाकूद्ध । কন্যার প্রতি যা না রে, প্ৰভুরে গিয়ে কর দণ্ডবৎ । আয় বৎসে, কাছে আয়, কোলে করি তোরে । আসিবি নে ! তুই মোরে চিনেছিস বুঝি— আমারে বিশ্বাস করে আসিস নে কাছে ! মাকে টানিয়া মা গো, ঘরে চলো । তবে প্ৰণাম ঠাকুর । যাও বাছা, সুখে থাকো আশীর্বাদ করি । [সন্ন্যাসী ব্যতীত সকলের প্রস্থান