পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VObrb. বালিকা । বালিকা । সন্ন্যাসী । সন্ন্যাসী । রবীন্দ্র-রচনাবলী লৌহপিঞ্জরের মাঝে বসিয়া বসিয়া আকাশের পানে চেয়ে ফেলিব। নিশ্বাস । তবে কি রে আর কিছু নাইকো উপায় ! প্ৰভাতের আলো পেলে উঠিবে ফুটিয়া । সন্ন্যাসী সবেগে গিয়া লতা ছিড়িয়া ফেলিল ওকি হল । ওকি হল ! কী করিলে পিতা ! রাক্ষসী পিশাচী, ওরে, তুই মায়াবিনী— দূর হ, এখনি তুই যা রে দূর হয়ে । এত বিষ ছিল তোর ওইটুকু-মাঝে অনন্ত জীবন মোর ধবংস করে দিলি ! ওরে, তোরে চিনিয়াছি, আজ চিনিয়াছিপ্রকৃতির গুপ্তচর তুই রে রাক্ষসী, গলায় বাধিয়া দিলি লোহার শৃঙ্খল ! তুই রে আলেয়া-আলো, তুই মরীচিকা— কোন পিপাসার মাঝে, দুর্ভিক্ষের মাঝে, কোন মরুভূমি-মাঝে, শ্মশানের পথে, কোন মরণের মুখে যেতেছিস নিয়ে ! ওই-যে দেখি রে তোর নিদারুণ হাসি, প্রকৃতির হদিহীন উপহাস তুই— শৃঙ্খলেতে বেঁধে ফেলে পরাজিত মোরে হা হা করে হাসিতেছে প্রকৃতি রাক্ষসী ! এখনো কি আশা তোর পুরে নি পাষাণী ? এখনো করিবি মোরে আরো অপমান ! আরো ধুলা দিবি ফেলে এ মাথায় মোর ! আরো গহবরেতে মোরে টেনে নিয়ে যাবি ! না রে না, তা হবে না রে, এখনো যুঝিব— এখনো হইব জয়ী, ছিড়িব শৃঙ্খল । সন্ন্যাসীর সবেগে গুহা হইতে বহিৰ্গমন ও মুছিত হইয়া বালিকার পতন ত্রয়োদশ দৃশ্য অরণ্য ঝড়বৃষ্টি । রাত্রি কে ও রে করুণকণ্ঠে করে আর্তনাদ ! এখনো কনেতে কেন পশিছে আসিয়া ! প্ৰলয়ের শব্দে আজি কঁাপিছে ধরণী