পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

મે ||૨ડે দেবদত্ত | বিক্রমদেব । দেবদত্ত । বিক্রমদেব | দেবদত্ত । বিক্রমদেব | দেবদত্ত । বিক্রমদেব | রাজা ও রানী রমণীর প্ৰেমে- আশ্রয় কোথায় পাবে ? নদী ধায়, বায়ু বহে কেমনে কে জানে । সেই নদী দেশের কল্যাণপ্ৰবাহিণী, সেই বায়ু জীবের জীবন । বন্যা আনে সেই নদী, সেই বায়ু ঝঞা নিয়ে আসে । প্ৰাণ দেয়, মৃত্যু দেয়— লই শিরে তুলি । তাই বলে কোন মুখ চাহে তাঁহাদের বশ করিবারে ! বদ্ধনদী বদ্ধবায়ু রোগ-শোক-মৃত্যুর নিদান । হে ব্ৰাহ্মণ, নারীর কী জান তুমি ? কিছু না রাজনী ! ছিলাম উজ্জ্বল করে পিতৃমাতৃকুল ভদ্ৰ ব্ৰাহ্মণের ছেলে । তিন সন্ধ্যা ছিল আহিব্রুক তপণ । শেষে তোমারি সংসগে কেবল অনঙ্গদেব রয়েছেন বাকি । ভুলেছি মহিম্নস্তব, শিখেছি গাহিতে নারীর মহিমা । সে বিদ্যাও পুঁথিগত— তার পরে মাঝে মাঝে চক্ষু রাঙাইলে সে বিদ্যাও ছুটে যায় স্বপ্নের মতন । না না, ভয় নাই, সখা, মৌন রহিলাম— তোমার নূতন বিদ্যা বলে যাও তুমি । শুন তবে— বলিছেন কবি ভর্তৃহরি— ‘নারীর বচনে মধু, হৃদয়েতে হলাহল, অধরে পিয়ায় সুধা, চিত্তে জ্বলে দাবানল ৷” সেই পুরাতন কথা ! সত্য পুরাতন | ওই এক কথা । যত প্ৰাচীন পণ্ডিত প্ৰেয়সীরে ঘরে নিয়ে এক দণ্ড কভু ছিল না। সুস্থির । আমি শুধু ভাবি, যার ঘরের ব্ৰাহ্মণী ফিরে পরের সন্ধানে সে কেমনে কাব্য লেখে ছন্দ গেথে গেথে পরম নিশ্চিন্ত মনে ? মিথ্যা অবিশ্বাস । ও কেবল ইচ্ছাকৃত আত্মপ্রবঞ্চনা । ক্ষুদ্র হৃদয়ের প্ৰেম নিতান্ত বিশ্বাসে হয়ে আসে মৃত জড়বৎ, তাই তারে জাগায়ে তুলিতে হয় মিথ্যা অবিশ্বাসে । 88s