পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8tro রবীন্দ্র-রচনাবলী সখীদের গান যদি আসে। তবে কেন যেতে চায় ? দেখা দিয়ে তবে কেন গো লুকায় ? চেয়ে থাকে ফুল হৃদয় আকুল, বায়ু বলে এসে ‘ভেসে যাই । ধরে রাখো, ধরে রাখো, সুখপাখি ফাকি দিয়ে উড়ে যায় । পথিকের বেশে সুখনিশি এসে বলে হেসে হেসে ‘মিশে যাই’ জেগে থাকো, জেগে থাকো, বরষের সাধ নিমেষে মিলায় । কুমারসেন । আমারে কী করেছিস, অয়ি কুহকিনী ! কুমারসেন । নির্বাপিত আমি । সমস্ত জীবন মন নয়ন বচন ধাইছে তোমার পানে কেবল বাসনাময় হয়ে । যেন আমি আমারে ভাঙিয়ে দিয়ে ব্যাপ্ত হয়ে যাব তোমার মাঝারে প্ৰিয়ে ! যেন মিশে রব সুখস্বপ্ন হয়ে ওই নয়নপল্লবে । হাসি হয়ে ভাসিব অধরে । বাহু দুটি ললিত লাবণ্যসম রহিব বেড়িয়া, রহিব মিলায়ে । সহসা টুটিবে স্বপ্নজাল, আপনারে পড়িবে স্মরণে। গীতহীনা বীণাসম আমি পড়ে রব ভূমে, তুমি চলে যাবে গুনগুন গাহি অন্যমনে । নানা সখা, স্বপ্ন নয়, মোহ নয়, এ মিলনপাশ কখন বাধিয়া যাবে বাহুতে বাহুতে, চোখে চোখে, মর্মে মৰ্মে, জীবনে জীবনে ! সে তো আর দেরি নাই- আজি সপ্তমীর অর্ধচাদ ক্রমে ক্রমে পূৰ্ণশশী হয়ে দেখিবেক আমাদের পূর্ণ সে মিলন । ক্ষীণ বিচ্ছেদের বাধা মাঝখানে রেখে কম্পিত আগ্ৰহবেগে মিলনের সুখআজি তার শেষ । দূরে থেকে কাছাকাছি, কাছে থেকে তবু দূর- আজি তার শেষ । সহসা সাক্ষাৎ, সহসা বিস্ময়রাশি, সহসা মিলন, সহসা বিরহ ব্যথাবনপথ দিয়ে ধীরে ধীরে ফিরে যাওয়া শূন্য গৃহপানে সুখস্মৃতি সঙ্গে নিয়ে, প্রতি কথা প্রতি হাসিটুকু শতবার উলটি পালটি মনে- আজি তার শেষ । মীেন লজ্জা প্ৰতিবার প্রথম মিলনে,