পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8& 8 কুমারসেন । শংকর । রবীন্দ্র-রচনাবলী শুনাব বাল্যের কথা ; শৈশবমহত্ত্ব তব শিশু-হৃদয়ের । র্দোহে শিখিতাম বীণা ৷ আমি ধৈর্যহীন যেতেম পালায়ে ; তুই শয্যাপ্ৰান্তে বসে কেশবেশ ভুলে গিয়ে সারা সন্ধ্যাবেলা বাজাতিস, গভীর আনন্দমুখখানি । সংগীতেরে করে তুলেছিলি তোর সেই ছোটাে ছোটাে অঙ্গুলির বশ । মনে আছে, খেলা হতে ফিরে এসে শোনাতে আমারে অদ্ভূত কল্পনাকথা— কোথা দেখেছিলে অজ্ঞাত নদীর ধারে স্বৰ্ণস্বৰ্গপুর, অলৌকিক কল্পকুঞ্জে কোথায় ফলিত অমৃতমধুর ফল ! ব্যথিত হৃদয়ে সবিস্ময়ে শুনিতাম, স্বপ্নে দেখিতাম সেই কিন্নরকানন | বলিতে বলিতে নিজের কল্পনা শেষে নিজেরে ছলিত । সত্য মিথ্যা হত একাকার মেঘ। আর গিরির মতন ; দেখিতে পেতেম যেন দূর শৈলপরপারে। রহস্যনগরী ।— । শংকর আসিছে ওই ফিরে । শোনা যাক কী সংবাদ । শংকরের প্রবেশ প্ৰভু তুমি, তুমি মোর রাজা, ক্ষমা করো বৃদ্ধ এ শংকরে । ক্ষমা করে। দূত করে রাজার শিবিরে ? আমি বুদ্ধ নাহি পটু সাবধান বচনবিন্যাসে, আমি কি সহিতে পারি তব অপমান ? শান্তির প্রস্তাব শুনে যখন হাসিল ক্ষুদ্র জয়সেন, হাসিমুখে ভূত্য যুধাজিৎ করিল। সুতীব্ৰ উপহাস, সভ্ৰভঙ্গে কহিলা বিক্রমদেব জলন্ধররাজ চারি দিকে হাসিতেছে সভাসদ যত দ্বারের প্রহরী- পশ্চাতে আছিল যারা তাদের নীরব হাসি ভুজঙ্গের মতো