পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শংকর । শংকর । কুমারসেন । শংকর । শংকর । রাজা ও রানী যেন পৃষ্ঠে আসি মোর দংশিতে লাগিল । তখন ভুলিয়া গেনু শিখেছিনু যত শান্তিপূৰ্ণ মৃদুবাক্য । কহিলাম রোষে— নারী তুমি, নহ ক্ষত্ৰবীর । সেই খেদে মোর রাজা কোষে লয়ে কোষ রুদ্ধ অসি ফিরে যেতেছেন দেশে, জানাইনু সবে ।” শুনিয়া কম্পিত তনু জলন্ধরপতি । প্ৰস্তুত হতেছে সৈন্য । ক্ষমা করো ভাই ! এই কি উচিত। তব, কাশ্মীরতনয়া তুমি, ভারতে রটায়ে যাবে কাশ্মীরের অপমানকথা ? বীরের স্বধৰ্ম হতে বিরত কোরো না তুমি আপন ভ্ৰাতারে, রাখো এ মিনতি । বোলো না, বোলো না। আর ংকর ! মার্জনা করো ভাই ! পদতলে পড়িলাম ! ওই তব রুদ্ধ কম্পমান রোষানল নির্বাণ করিতে চাও ? আছে মোর হৃদয়শোণিত | মৌন কেন ভাই ? বাল্যকাল হতে আমি ভালোবাসা তব পেয়েছি না চেয়ে, আজ আমি ভিক্ষা মাগি ওই রোষ তব, দাও। তাহা । শোনো প্ৰভু ! চুপ করো বৃদ্ধ ! যাও তুমি, সৈন্যদের জানাও আদেশ- এখনি ফিরিতে হবে কাশ্মীরের পথে । হায় একি অপমান, পলাতক ভীরু বলে রাটিবে অখ্যাতি । শংকর, ব্যারেক তুই মনে করে দেখ সেই ছেলেবেলা । দুটি ছোটাে ভাইবোনে কোলে বেঁধে রেখেছিলি এক স্নেহপাশে । তার চেয়ে বেশি হল খ্যাতি ও অখ্যাতি ? প্ৰাণের সম্পর্ক এ যে চিরজীবনের পুণ্য স্নেহতীৰ্থখানি । বাহির হইতে হিংসানলশিখা আনি এ কল্যাণভূমি, শংকর, করিতে চাস অঙ্গারমলিন ! চল দিদি, চল ভাই, ফিরে চলে যাই সেই শান্তিসুধাম্বিন্ধ বাল্যকাল-মাঝে । 8SG