পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা ও রানী (20) চন্দ্ৰসেন । চুপ করো, চুপ করে রানী ! চালো বৎস, বিক্রমদেব । পরে যাব, অগ্রসর হও মহারাজ । [চন্দ্ৰসেন ও রেবতীর প্রস্থান ওরে হিংস্রনারী ! ওরে নরকাগ্নিশিখা ! বন্ধুত্ব আমার সনে ! এতদিন পরে আপনার হৃদয়ের প্রতিমূর্তিখানা দেখিতে পেলেম ওই রমণীর মুখে । অমনি শাণিত ক্রর বক্ৰ জ্বালারেখা আছে কি ললাটে মোর ? রুদ্ধ হিংসাভারে অধরের দুই প্ৰান্ত পড়েছে কি নুয়ে ? অমনি কি তীক্ষ মোর উষ্ণ তিক্ত বাণী খুনীর ছুরির মতো বাকা বিষ-মাখা ? নহে নহে, কীভু নহে । এ হিংসা আমার চাের নহে, ক্রুর নহে, নহে ছদ্মবেশী । প্ৰচণ্ড প্রেমের মতো প্ৰবল এ জ্বালা অভ্ৰভেদী সর্বগ্রাসী উদাম উন্মাদ দুৰ্নিবার ! নহি আমি তোদের আত্মীয় । হে বিক্রম, ক্ষান্ত করে এ সংহার-খেলা । এ শ্মশান নৃত্য তব থামাও থামাও, নিবাও এ চিতা । পিশাচ-পিশাচী যত অতৃপ্ত হৃদয়ে লয়ে দীপ্ত হিংসাতৃষা ফিরে যাক রুদ্ধ রোষে, লালায়িত লোভে । একদিন দিব বুঝাইয়া, নাহি আমি তোমাদের কেহ । নিরাশ করিব। এই গুপ্ত লোভ, বক্র রোষ, দীপ্ত হিংসাতুষা | দেখিব কেমন ক’রে আপনার বিষে আপনি জুলিয়া মরে নর-বিষধর । রমণীর হিংস্র মুখ সূচিময় যেনকী ভীষণ, কী নিষ্ঠুর, একান্ত কুৎসিত ! চর । ত্রিচূড়ের অভিমুখে গেছেন কুমার । বিক্রমদেব । এ সংবাদ রাখিয়ো গোপনে । একা আমি যাব সেথা মৃগয়ার ছলে । bS যে আদেশ ।