পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন্ধ্যাসংগীত হাসি তব আলোকের প্রায় কোমলতা নাহি যেন তায়, তাই মন প্ৰতিদিন কহে, “নহে নহে, এ জন। সে নাহে ।” শোনো বন্ধু, শোনো, আমি করুণারে ভালোবাসি । সে যদি না থাকে তবে ধূলিময় রূপরাশি । তোমারে যে পূজা করি, তোমারে যে দিই। ফুল, ভালোবাসি বলে যেন কখনো কোরো না ভুল ! যে জন দেবতা মোর কোথা সে আছে না জানি, তুমি তো কেবল তার পাষাণ প্রতিমাখানি । তোমার হৃদয় নাই, চোখে নাই অশ্রদ্ধার, কেবল রয়েছে তব পাষাণ-আকার তার । দুদিন শীর্ণ বৃক্ষশাখা যত ফুলপত্ৰহীন ; মৃতপ্রায় পৃথিবীর মুখের উপরে বিষাদে প্রকৃতিমাতা শুভ্ৰ বাষ্পপজালে-গাথা কুজ্বাটি-বসনখানি দেছেন টানিয়া । পশ্চিমে গিয়েছে। রবি, স্তব্ধ সন্ধ্যাবেলা, বিদেশে আসিনু শ্ৰান্ত পথিক একেলা । রহিনু দুদিন । এখনো রয়েছে শীত, বিহঙ্গ গাহে না গীত, এখনো ঝরিছে পাতা, পড়িছে তুহিন । বসন্তের প্রাণভরা চুম্বন-পরিশে সর্ব অঙ্গ শিহরিয়া পুলকে-আকুল-হিয়া মৃতশয্যা হতে ধরা জাগে নি হরষে । এক দিন দুই দিন ফুরাইল শেষে, আবার উঠিতে হল, চলিনু বিদেশে । এই-যে ফিরানু মুখ, চলিনু পুরবে, আর কি রে এ জীবনে ফিরে আসা হবে ! কত মুখ দেখিয়াছি দেখিব না। আর । ঘটনা ঘটিবে কত, বরষ বরষ শত জীবনের পর দিয়া হয়ে যাবে পারহয়তো-বা একদিন অতি দূর দেশে, আসিয়াছে সন্ধ্যা হয়ে, <NDPT GROOCRKC2, একেলা নদীর ধারে রহিয়াছি বসে R&