পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিসর্জন কেবলই নূতনে আশ, সৌন্দর্যেতে অবিশ্বাস উন্মাদনা চাহি দিনরাত সে-সকল ভুলে গিয়ে কোণে বসে খাতা নিয়ে মহানন্দে কাটিছে প্ৰভাত । দক্ষিণের বারান্দায় বেড়াই মুগ্ধের প্রায়, অপরাহুে পড়ে তরুচ্ছায়া কল্পনার ধনগুলি হৃদয়দোলায় দুলি প্রতিক্ষণে লভিতেছে কায়া । ؟ ভোগ করে চাদের অমিয় ভেদ করি মোর প্রাণ জীবন করিয়া পান হইতেছে জীবনের প্ৰিয় । এত তারা জেগে আছে নিশিদিন কাছে কাছে, এত কথা কয় শত স্বরে, তাহাদের তুলনায় আর-সবে ছায়াপ্ৰায় আসে যায় নয়নের 'পরে । আজ সব হল সারা, বিদায় লয়েছে তারা, নূতন বেঁধেছে। ঘরবাড়ি— এখন স্বাধীন বলে বাহিরে এসেছে চলে অস্তরের পিতৃগৃহ ছাড়ি । তাই এতদিন পরে আজি নিজমূর্তি ধরে তোদের কাছোতে যেতে তোদিকে নিকটে পেতে জাগিতেছে একান্ত বাসনা । সম্মুখে দাড়াব যবে ‘কী এনেছ' বলি সবে যদ্যপি শুধাস হাসিমুখ, খাতাখানি বের করে বলিব ‘এ পাতা ভরে আনিয়াছি প্রবাসের সুখ’ ! সেই ছবি মনে আসে- টেবিলের চরি৷ পাশে গুটিকত চৌকি টেনে আনি, শুধু জন দুই-তিন, উর্ধের্ব জ্বলে কেরোসিন, দক্ষিণের দ্বার দিয়ে বায়ু আসে গান নিয়ে, কেঁপে কেঁপে উঠে। দীপশিখা ৷ খাতা হাতে সুর করে অবাধে যেতেছি পড়ে, কেহ নাই করিবারে টাকা । VSVS)