পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুণবতী । গোবিন্দমাণিক্য । গুণবতী । গোবিন্দমাণিক্য । গুণবতী । গোবিন্দমাণিক্য । গুণবতী । গোবিন্দমাণিক্য । গুণবতী । রঘুপতি । বিসর্জন কথা রেখে দাও মহারাজ ! মন্দিরের বাহিরে তোমার রাজ্য। যেথা তব আজ্ঞা নাহি চলে, সেথা আজ্ঞা নাহি দিয়ো । মা’র আজ্ঞা, মোর আজ্ঞা নহে । কেমনে জানিলে ? ক্ষীণ দীপালোকে গৃহকোণে থেকে যায় অন্ধকার ; সব পারে, আপনার ছায়া কিছুতে ঘুচাতে নারে দীপ । মানবের বুদ্ধি দীপসম, যত আলো করে দান তত রেখে দেয় সংশয়ের ছায়া । স্বগ হতে নামে যাবে জ্ঞান, নিমেষে সংশয় টুটে । আমার হৃদয়ে সংশয় কিছুই क्राष्ट्रि । শুনিয়াছি, আপনার পাপপুণ্য আপনার কাছে । তুমি থাকো আপনার অসংশয় নিয়ে- আমারে দুয়ার ছাড়ো, আমার পূজার বলি আমি নিয়ে যাই আমার মায়ের কাছে । দেবী, জননীর আজ্ঞা পারি না লঙিঘতে । আমিও পারি না । মা’র কাছে আছি প্ৰতিশ্রুত । সেইমত যথাশাস্ত্ৰ যথাবিধি পূজিব তাহারে । যাও, তুমি যাও ! যে আদেশ মহারানী ! রঘুপতির প্রবেশ মাতৃদ্বার হতে ! মহারানী, মা’র পূজা ফিরে গেছে, নহে সে তোমার । উৰ্দ্ধবৃত্ত দরিদ্রের ভিক্ষালব্ধ পূজা, রাজেন্দ্ৰাণী, তোমার পূজার চেয়ে নতুন নহে । কিন্তু, এই বড়ো সর্বনাশ, মা'র পূজা ফিরে গেছে। এই বড়ো সর্বনাশ, রাজদপ পৃথিবীর রাজত্বের সীমা- বসিয়াছে দেবতার দ্বার রোধ করি, জননীর (ሉ 8 ዓ