পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ܓ ܬܐ) রবীন্দ্র-রচনাবলী পঞ্চম অঙ্ক প্রথম দৃশ্য মন্দির । বাহিরে ঝড় । রঘুপতি পূজোপকরণ লইয়া রঘুপতি । এতদিনে আজ বুঝি জাগিয়াছ দেবী ! ওই রোষান্থহুংকার ! অভিশাপ হকি নগরের ‘পর দিয়া ধেয়ে চলিয়াছ তিমিররূপিণী ! ওই বুঝি তোর প্ৰলয়সঙ্গিনীগণ দারুণ ক্ষুধায় প্ৰাণপণে নাড়া দেয় বিশ্বমাহাতরু ! আজ মিটাইব তোর দীর্ঘ উপবাস । ভক্তেরে সংশয়ে ফেলি এতদিন ছিলি কোথা দেবী ? তোর খড়গ তুই না তুলিলে আমরা কি পারি ? আজি কী আনন্দ, তোর চণ্ডীমূর্তি দেখে ! সাহসে ভরেছে চিত্ত, সংশয় গিয়েছে ; হতমান নতশির উঠেছে নূতন তেজে। ওই পদধ্বনি শুনা যায়, ওই আসে তোর পূজা । জয় [অপর্ণার প্রস্থান এ কী অকাল-ব্যাঘাত ! জয়সিংহ যদি নাই আসে ! কভু নহে। সত্যভঙ্গ কভু নাহি হবে তার - জয় মহাকালী, সিদ্ধিদাত্রী, জয় ভয়ংকরী !-- যদি বাধা পায়- যদি ধরা পড়ে শেষে— যদি প্ৰাণ যায়। তার প্রহরীর হাতে - জয় মা অভয়া, জয় ভক্তের সহায় । জয় মা জাগ্ৰত দেবী, জয় সর্বজয়া ! ভক্তবৎসলার যেন দুর্নােম না। রটে এ সংসারে, শত্রুপক্ষ নাহি হাসে যেন নিঃশঙ্ক কৌতুকে । মাতৃ-অহংকার যদি চূৰ্ণ হয় সন্তানের, মা বলিয়া তবে