পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভাতসংগীত প্ৰভাতকিরণে পাগল হইয়া জগৎ-মাঝারে লুটিতে চায় । কেন রে বিধাতা পাষাণ হেন, চারি দিকে তার বাধন কেন ? ভাঙা রে হৃদয় ভাঙা রে বঁাধন, সাধ রে আজিকে প্ৰাণের সাধন, লহরীর পরে লহরী তুলিয়া আঘাতের পর আঘাত কর । মাতিয়া যখন উঠিছে পরান কিসের আঁধার, কিসের পাষাণ ! উথলি যখন উঠিছে বাসনা, জগতে তখন কিসের ডর ! সহসা আজি এ জগতের মুখ একটি পাখির আধখানি তান জগতের গান গাহিল যেন ! জগৎ দেখিতে হইব বাহির দেখিব না। আর নিজেরি স্বপন বসিয়া গুহার কোণে । আমি ঢালিব করুণাধারা, আমি ভাঙিব পাষাণকারা, আমি জগৎ প্লাবিয়া বেড়াবা গাহিয়া আকুল পাগল পারা ; কেশ এলাইয়া, ফুল কুড়াইয়া, রামধনু-আঁকা পাখা উড়াইয়া, দিব রে পরান ঢালি । শিখর হইতে শিখরে ছুটিব, ভূধর হইতে ভূধরে লুটিব, হেসে খলখল গেয়ে কলকল তালে তালে দিব তালি । তটিনী হইয়া যাইব বহিয়াযাইব বহিয়া- যাইব বহিয়াহৃদয়ের কথা কহিয়া কহিয়া গাহিয়া গাহিয়া গান, যত দেব। প্ৰাণ বহে যাবে প্ৰাণ ফুরাবে না। আর প্রাণ । এত কথা আছে। 6ठ १ोंन थांछ এত প্ৰাণ আছে মোর,