পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ じ রবীন্দ্র-রচনাবলী আয় রে আয় বায়ু, যা রে যা প্ৰাণ নিয়ে, জগত-মাঝিারেতে দে রে তা প্রসারিয়ে । ভ্ৰমিবি বনে বনে, যাইবি দিশে দিশে, সাগরপারে গিয়ে পুরবে যাবি মিশে । লইবি পথ হতে পাখির কলতান, যুখীর মৃদুশ্বাস, মালতী মৃদুবাসঅমনি তারি সাথে যা রে যা নিয়ে প্ৰাণ । পাখির গীতধার ফুলের বাসভার ছড়াবি পথে পথে হরষে হয়ে ভোর, আমনি তারি সাথে ছড়াবি প্ৰাণ মোর । ধরারে ঘিরি ঘিরি কেবলি যাবি বয়ে ধরার চারি দিকে প্ৰাণেরে ছড়াইয়ে । পেয়েছি। এত প্ৰাণ যতই করি দান কিছুতে যেন আর ফুরাতে নারি তারে । আয় রে মেঘ, আয় ব্যারেক নেমে আয়, কোমল কোলে তুলে আমারে নিয়ে যা রে ! কনক-পাল তুলে বাতাসে দুলে দুলে ভাসিতে গেছে সাধ আকাশ-পরাবারে । আকাশ, এসো এসো, ডাকিছ বুঝি ভাই— গেছি তো তোরি বুকে, আমি তো হেথা নাই । প্ৰভাত-আলো-সাথে ছড়ায় প্ৰাণ মোর, আমার প্রাণ দিয়ে ভরিব প্ৰাণ তোর । ওঠে হে ওঠে রবি, আমারে তুলে লও, অরুণতরী তব পুরবে ছেড়ে দাও, আকাশ-পারাবার বুঝি হে পার হবে— আমারে লও। তবে, আমারে লও। তবে । জগৎ আসে প্ৰাণে, জগতে যায় প্ৰাণ জগতে প্ৰাণে মিলি গাহিছে একি গান ! কে তুমি মহাজ্ঞানী, কে তুমি মহারাজ, গরবে হেলা করি হেসো না তুমি আজ । বারেক চেয়ে দেখো আমার মুখপানে— উঠেছে মাথা মোর মেঘের মাঝখানে, আপনি আসি উষা শিয়রে বসি ধীরে