পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলাকা a এ কথা জানিতে তুমি, ভারত-ঈশ্বর শা-জাহান, কালস্রোতে ভেসে যায় জীবন যৌবন ধন মান । শুধু তব অন্তরবেদনা চিরন্তন হয়ে থােক সম্রাটের ছিল এ সাধনা ৷ রাজশক্তি বজ্ৰ সুকঠিন কেবল একটি দীর্ঘশ্বাস নিত্য-উচ্ছসিত হয়ে সকরুণ করুক আকাশ, এই তব মনে ছিল আশ । হীরামুক্তামণিক্যের ঘটা যেন শূন্য দিগন্তের ইন্দ্ৰজাল ইন্দ্ৰধনুচ্ছটা যায়। যদি লুপ্ত হয়ে যাক, শুধু থাক একবিন্দু নয়নের জল কালের কপোলতলে শুভ্ৰ সমুজ্জ্বল এ তাজমহল । হয় ওরে মানবহৃদয়, বার বার | কারো পানে ফিরে চাহিবার নাই যে সময়, कारैि क्राष्ट्रि । জীবনের খরস্রোতে ভাসিছ সদাই ভুবনের ঘাটে ঘাটেএক হাটেলও বোঝা, শূন্য করে দাও অন্য হাটে । দক্ষিণের মন্ত্রগুঞ্জারণে তব কুঞ্জবনে বসন্তের মাধবীমঞ্জরী যেই ক্ষণে দেয় ভরি - মালঞ্চের চঞ্চল অঞ্চল, বিদায়-গোধূলি আসে ধুলায় ছড়ায়ে ছিন্নদল । সময় যে নাই ; আবার শিশিররাত্রে তাই নিকুঞ্জে ফুটায়ে তোলা নবকুন্দরাজি সাজাইতে হেমন্তের অশ্রুভরা আনন্দের সাজি । হয় রে হৃদয়, তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্ৰান্তে ফেলে যেতে হয়। নাই নাই, নাই যে সময়। ܘ?)