পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sbr\е রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী । এ কথা শুধায় সবে ভীত আর্তরবে: ঘুম হতে অকস্মাৎ জেগে । ঝড়ের পুঞ্জিত মেঘে কালোয় ঢেকেছে আলো- জানে না তো কেউ রাত্রি আছে কি না আছে ; দিগন্তে ফেনায়ে উঠে ঢেউ তারি মাঝে ফুকারে কাণ্ডারী“নূতন সমুদ্রতীরে তরী নিয়ে দিতে হবে পাড়ি ।” বাহিরিয়া এল। কারা । মা কঁদিছে পিছে, - প্ৰেয়সী দাড়ায়ে দ্বারে নয়ন মুদিছে। ঝড়ের গর্জনমাঝে বিচ্ছেদের হাহাকার বাজে ; ঘরে ঘরে শূন্য হল আরামের শয্যাতল ; উঠেছে আদেশ, “বন্দরের কাল হল শেষ।” মৃত্যু ভেদ করি দুলিয়া চলেছে তরী। কোথায় পৌঁছিবে ঘাটে, কবে হবে পাের, সময় তো নাই শুধাবার । এই শুধু জানিয়াছে সার তরঙ্গের সাথে লড়ি বাহিয়া চলিতে হবে তরী । টানিয়া রাখিতে হবে পাল, আঁাকড়ি ধরিতে হবে ; বঁচি, আর মরি বাহিয়া চলিতে হবে তরী। এসেছে আদেশবন্দরের কাল হল শেষ । অজানা সমুদ্রতীর, অজানা সে দেশ সেথাকার লাগি উঠিয়াছে জাগি ঝটিকার কণ্ঠে কণ্ঠে শূন্যে শূন্যে প্রচণ্ড আহবান । মরণের গান উঠেছে ধ্বনিয়া পথে নবজীবনের অভিসারে ঘোর অন্ধকারে । যত দুঃখ পৃথিবীর, যত পাপ, যত অমঙ্গল, যত অশ্রািজল, যত হিংসা হলাহল, ।