পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

G!!Sð 어II दक्कों তখন আমার অঙ্গ ভরি নূতন বসনখানি পাড়ে পাড়ে ভঁাজে ভজে করবে। কানাকানি । ওগো, আমার হৃদয় যেন সন্ধ্যারই আকাশ, রঙের নেশায় মেটে না তার আশ, তাই তো বসন রাঙিয়ে পড়ি কখনো বা ধানী, কখনো জাফরানী, আজ তোরা দেখা চেয়ে আমার নূতন বসনখানি। বৃষ্টি-ধোওয়া আকাশ যেন নবীন আসমানী । অকুলের এই বর্ণ, এ-যে দিশহারার নীল, অন্য পারের বনের সাথে মিল । আজকে আমার সকল দেহে বইছে দূরের হাওয়া সাগরপানে ধাওয়া । আজকে আমার অঙ্গে আনে নূতন কাপড়খানি বৃষ্টিভরা ঈশান কোণের নব মেঘের বাণী । ১২ অগ্রহায়ণ ১৩২২ ळि VS ইংলন্ডের দিকপ্রান্ত পেয়েছিল সেদিন তোমারে আপন বক্ষের কাছে, ভেবেছিল বুঝি তারি তুমি রেখেছিল কিছুকাল অরণ্যশাখার বাহুজালে, ঢেকেছিল কিছুকাল কুয়াশা-অঞ্চল-অন্তরালে বনপুষ্প-বিকশিত তৃণঘন শিশির-উজ্জ্বল । পরীদের খেলার প্রাঙ্গণে । দ্বীপের নিকুঞ্জতল। তখনো ওঠে নি জেগে কবিসূর্য-বন্দনাসংগীতে । তার পরে ধীরে ধীরে অনন্তের নিঃশব্দ ইঙ্গিতে উঠিয়াছ দীপ্তজ্যোতি মধ্যাহ্নের গগনের পরে ; নিয়েছ আসন তব সকল দিকের কেন্দ্রদেশে বিশ্বচিত্ত উদ্ভাসিয়া ; তাই হেরো যুগান্তর-শেষে নারিকেলকুঞ্জবনে জয়ধ্বনি উঠিতেছে বাজি । ১৩ অগ্রহায়ণ ১৩২২ Rbr&