২৯ 8 রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী বঁধুর দিঠি মধুর হয়ে আছে। সেই অজানার দেশে । প্ৰাণের ঢেউ সে এমনি করেই নাচে এমনি ভালোবেসে । সেখানেতে আবার সে কোন দূরে আলোর বঁাশি বাজবে গো এই সুরে, কোন মুখেতে সেই অচেনা ফুল ফুটবে। আবার হেসে । এইখানে এক শিশির-ভরা প্ৰাতে মেলেছিলেম প্ৰাণ । এইখানে এক বীণা নিয়ে হাতে সেধেছিলেম তান । এতকালের সে মোর বীণাখনি এইখানেতেই ফেলে যাব জানি, কিন্তু ওরে হিয়ার মধ্যে ভরি নেব যে তার গান । সে-গান আমি শোনাব যার কাছে নূতন আলোর তীরে, চিরদিন সে সাথে সাথে আছে আমার ভুবন ঘিরে । শরতে সে শিউলি-বনের তলে ফুলের গন্ধে ঘোমটা টেনে চলে, ফাল্লুনে তার বরণমালাখানি পর্যালো মোর শিরে । পথের বঁাকে হঠাৎ দেয় সে দেখা শুধু নিমেষতরে । সন্ধ্যা-আলোয় রায় সে বসে একা উদাস প্ৰান্তরে । এমনি করেই তার সে আসা-যাওয়া, এমনি করেই বেদন-ভরা হাওয়া হৃদয়-বনে বইয়ে সে যায় চলে মৰ্মরে মর্মরে । তার এই আনাগোনা । আধেক হাসি আন্ধেক চোখের জলে CाCा: 05०ा6eन्म |
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।