পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অচলায়তন S 하R পঞ্চক | তুমি ডাক দিয়েছ। কোন সকালে কেউ তা জানে না, আমার মন যে কাদে আপন মনে, কেউ তা মানে না । ফিরি। আমি উদাস প্রাণে, তাকাই সবার মুখের পানে, তোমার মতন এমন টানে কেউ তো টানে না । মহাপঞ্চকের প্রবেশ মহাপঞ্চক । গান ! আবার গান । পঞ্চক । দাদা, তুমি তো দেখলে- তোমাদের এখানকার মন্ত্র-তন্ত্র আচার-আচমন সূত্ৰ-বৃত্তি কিছুই পারলুম না । t মহাপঞ্চক । সে তো দেখতে বাকি নেই- কিন্তু সেটা কি খুব আনন্দ করবার বিষয় ? তাই নিয়ে কি গলা ছেড়ে গান গাইতে হবে ? *- পঞ্চক । একমাত্র ঐটেই যে পারি । মহাপঞ্চক । পারি ! ভারি অহংকার । গান তো পাখিও গাইতে পারে । সেই যে বাজবিদারণ-মন্ত্রটা আজ সাত দিন ধরে তোমার মুখস্থ হল না, আজ তার কী করলে ? পঞ্চক । সাত দিন যেমন হয়েছে অষ্টম দিনেও অনেকটা সেইরকম । বরঞ্চ একটু খারাপ । মহাপঞ্চক । খারাপ । তার মানে কী হ’ল ? পঞ্চক। জিনিসটা যতই পুরোনাে হচ্ছে মন ততই লাগছে না, ভুল ততই করছি— ভুল যতই বেশি বার করছি ততই সেইটেই পাকা হয়ে যাচ্ছে। তাই, গোড়ায় তোমরা যেটা বলে দিয়েছিলে আর আজ আমি যেটা আওড়াচ্ছি, দুটাের মধ্যে অনেকটা তফাত হয়ে গেছে। চেনা শক্ত । মহাপঞ্চক । সেই তফাতটা ঘোচাতে হবে নির্বোধি । পঞ্চক । সহজেই ঘোচে যদি তোমাদেরটাকেই আমার মতো করে নাও । নইলে আমি তো পারব कीं । মহাপঞ্চক । পারবে না। কী ! পারতেই হবে । గా | তা হলে আর-একবার সেই গোড়া থেকে চেষ্টা করে দেখি- একবার মন্ত্রটা আউড়ে দিয়ে \8 মহাপঞ্চক । আচ্ছা বেশ, আমার সঙ্গে আবৃত্তি করে যাও। ঔ তাঁট তট তেতিয় তেতিয় স্ফটি স্ফটি Vello