পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V88 রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী মহাপঞ্চক । এই মন্ত্রহীন কর্মকাণ্ডহীন স্নেচ্ছদল ! দাদাঠাকুর । এসো তো, তোমাদের মন্ত্র এদের শুনিয়ে দাও । এদের কর্মকাণ্ড কী রকম তাও ক্রমে দেখতে পাবে । শোণিপাংশুদের গান তারি কাজের সঙ্গী । নানা রঙের রঙ্গ, মোরা তারি রসের রঙ্গী । বিপুল ছন্দে ছন্দে যাই চলে আনন্দে, তেমনি নাচের ভঙ্গি । জন্মমরণ-খেলায় মিলি তারি মেলায় দুঃখসুখের জীবন মোদের তারি খেলার অঙ্গী । ডাকেন। তিনি যবে জলদমন্দ্র রবে: পথের কাটা পায়ে দলে সাগরগিরি লঙিঘ । মহাপঞ্চক। আমি এই আয়তনের আচাৰ্য- আমি তোমাকে আদেশ করছি তুমি এখন ঐ স্নেচ্ছদলকে সঙ্গে নিয়ে বাহির হয়ে যাও । দাদাঠাকুর । আমি যাকে আচার্য নিযুক্ত করব সেই আচার্য ; আমি যা আদেশ করব সেই আদেশ । মহাপঞ্চক । উপাধ্যায়, আমরা এমন করে দাড়িয়ে থাকলে চলবে না । এসো আমরা এদের এখান থেকে বাহির করে দিয়ে আমাদের আয়তনের সমস্ত দরজাগুলো আবার একবার দ্বিগুণ দৃঢ় করে বন্ধ করি । 牌。 উপাধ্যায় । এরাই আমাদের বাহির করে দেবে, সেই সম্ভাবনাটাই প্ৰবল বলে বোধ হচ্ছে ! প্ৰথম শোণিপাংশু । অচলায়তনের দরজার কথা বলছি- সে আমরা আকাশের সঙ্গে দিব্যি সমান করে দিয়েছি । উপাধ্যায়। বেশ করেছ ভাই । আমাদের ভারি অসুবিধা হচ্ছিল। এত তালাচাবির ভাবনাও ভাবতে হত ! মহাপঞ্চক । পাথরের প্রাচীর তোমরা ভাঙতে পাের, লোহার দরজা তোমরা খুলতে পাের, কিন্তু আমি আমার ইন্দ্ৰিয়ের সমস্ত দ্বার রোধ করে এই বসলুম- যদি প্রয়োপবেশনে মারি তবু তোমাদের হাওয়া তোমাদের আলো লেশমাত্র আমাকে স্পর্শ করতে দেব না । প্রথম শোণপাংশু । এ পাগলটা কোথাকার রে । এই তলোয়ারের ডগা দিয়ে ওর মাথার খুলিটা একটু ফাক করে দিলে ওর বুদ্ধিতে একটু হাওয়া লাগতে পারে। মহাপঞ্চক । কিসের ভয় দেখাও আমায় ? তোমরা, মেরে ফেলতে পাের, তার বেশি ক্ষমতা তোমাদের নেই । প্রথম শোণপাংশু । ঠাকুর, এই লোকটাকে বন্দী করে নিয়ে যাই- আমাদের দেশের লোকের उांत्रि भछों द्वाद ।