পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাল্গুনী Vasa চন্দ্ৰহাস । আহা, আদ্যিকালের বুড়ো । মাঝি। ও, বুঝেছি। তাকে নিয়ে করবে। কী । । বসন্ত-উৎসব করব । মাঝি। বুড়োকে নিয়ে বসন্ত-উৎসব ! পাগল হয়েছ ? পাগল হঠাৎ হই নি । গোড়া থেকেই এই দশা । আর অন্তিম পর্যন্তই এই ভাব । গান আমাদের খেপিয়ে বেড়ায় যে কোথায় নুকিয়ে থাকে রে । ছুটিল বেগে ফাগুন হাওয়া কোন খোপামির নেশায় পাওয়া । ঘূর্ণ হাওয়ায় ঘুরিয়ে দিল সূৰ্যতারাকে । মাঝি । ওহে, তোমাদের হাওয়ার জোর আছে- দরজায় ধাক্কা লাগিয়েছে। এখন সেই বুড়োটার খবর দাও । মাঝি। সেই যে বুড়িটা রাস্তার মোড়ে বসে। চরকা কাটে তাকে জিজ্ঞাসা করলে হয় না ? জিজ্ঞাসা করেছিলুম- সে বলে, সামনে দিয়ে কত ছায়া যায়, কত ছায়া আসে, কাকেই বা চিনি । ও যে একই জায়গায় বসে থাকে, ও কারও ঠিকানা জানে না । মাঝি, তুমি ঘাটে ঘাটে অনেক ঘুরেছ, তুমি নিশ্চয় বলতে পার কোথায় সেই-- মাঝি । ভাই, আমার ব্যাবসা হচ্ছে পথ ঠিক করা- কাদের পথ, কিসের পথ, সে আমার জানিবার দরকার হয় না । আমার দৌড় ঘাট পর্যন্ত, ঘর পর্যন্ত না । আচ্ছা চলো তো, পথগুলো পরখ করে দেখা যাক । 이R কোন খোপামির তালে নাচে পাগল সাগরনীর । সেই তালে যে পা ফেলে যাই, রইতে নারি স্থির । । চল রে সোজা, ফেল রে বোঝা, চলার বেগে পায়ের তলায় রাস্তা জেগেছে ৷ মাঝি। ঐ যে কোটাল আসছে, ওকে জিজ্ঞাসা করলে হয়— আমি পথের খবর জানি, ও পথিকের খবর জানে । ওহে কোটাল হে, কোটাল হে । কোটাল । কে গো, তোমরা কে । আমাদের যা দেখছ, তাই, পরিচয় দেবার কিছুই নেই। (शब्न । दी फ़ारे। চন্দ্ৰহাস । বুড়োকে খুঁজতে বেরিয়েছি। কোটাল । কোন বুড়োকে । সেই চিরকালের বুড়োকে ।