পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8o Sq ब्रोक्ष-द्रिष्नांदगाठी যে-মরদ খাড়া দাড়িয়ে শুনতে পারে তাকেই শাবাশ। ওটা ভাগ্যের কথা কিনা। তা, বলো ঠাকুর, বলো । দাদা। আজ পথে যেতে যেতে দেখলুম, রাজপুরুষ একজন বন্দীকে নিয়ে চলেছে। শুনলুম, সে কোনো শ্রেষ্ঠী, তার টাকার লোভেই রাজা মিথ্যা ছুতো করে তাকে ধরেছে। শুনে আমি নিকটেই মুদির দোকানে বসে এই শ্লোকটি রচনা করেছি। দেখো বাপু, আমি বানিয়ে একটি কথাও লিখি নে। আমি যা লিখব রাস্তায় ঘাটে তা মিলিয়ে নিতে পারবে । । ঠাকুর, কী লিখেছি শুনি । प्रॉनों । আত্মরস লক্ষ্য ছিল ব’লে ইক্ষু মরে ভিক্ষুর কবলে । ওরে মুখ, ইহা দেখি শিক্ষ— বুঝেছি ? রস জমায় বলেই ইক্ষু বেটা মরে, যে গাছ ফল দেয় তাকে তো কেউ মারে না। কোটাল । ওহে মাঝি, খাসা লিখেছে হে ! মাঝি । ভাই কোটাল, কথাটির মধ্যে সারা আছে । কোটাল । শুনলে মানুষের চৈতন্য হয় । আমাদের কায়েতের পো এখানে থাকলে ওটা লিখে নিতুম রে। পাড়ায় খবর পাঠিয়ে দে । সর্বনাশ করলে রে ! চন্দ্ৰহাস । ও ভাই মাঝি, তুমি যে বললে আমাদের সঙ্গে বেরবে, দাদার চৌপদী জমলে তো TNS মাঝি । আরো রসুন মশায়, পাগলামি রেখে দিন । ঠাকুরকে পেয়েছি, দুটাে ভালো কথা শুনে নিই- বয়েস হয়ে এল, কোন দিন মরব। ভাই, সেইজন্যেই তো বলছি, আমাদের সঙ্গ পেয়েছ, ছেড়ে না । চন্দ্ৰহাস । দাদাকে চিরদিনই পাবে কিন্তু আমরা একবার ম’লে বিধাতা দ্বিতীয়বার আর এমন ভুল दन् की | (বাহির হইতে) ওগো কোটাল, কোটাল, কোটাল ! কে রে ! অনাথ কলু দেখছি। কী হয়েছে। কলু। সেই যে ছেলেটাকে পুষেছিলুম, তাকে বুঝি কাল রাত্রে ভুলিয়ে নিয়ে গেছে সেই ছেলেধরা। কোন ছেলেধরা । কলু। সেই বুড়ো । চন্দ্ৰহাস । বুড়ো ? বলিস কী রে । কলু । আপনারা অত খুশি হন কেন । ওটা আমাদের একটা বিশ্ৰী স্বভাব। আমরা খামক খুশি হয়ে উঠি । কোটাল । পাগল ! একেবারে উন্মাদ পাগল ! চন্দ্ৰহাস । তাকে তুমি দেখেছি হে ? কলু। বোধ হয় কাল রাত্রে তাকেই দূর থেকে দেখেছিলুম। কী রকম চেহারাটা । কলু। কালো, আমাদের এই কোটাল দাদার চেয়েও । একেবারে রাত্রের সঙ্গে মিশিয়ে গেছে। আর ওহে, বসন্ত-উৎসবে তো মানবে না । চন্দ্ৰহাস। ভাবন কী। তেমন যদি দেখি তবে এবার নাহয় পূর্ণিমায় উৎসব না করে অমাবস্যায়