পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাল্গুনী 8Oa 5R মোরা চলাব না ! ታ মুকুল ঝরে ঝরুক, মোরা ফলব না। সূর্য তারা আগুন ভুগে জ্বলে মরুক যুগে যুগে, আমরা যতই পাই-না জ্বালা জুলব না । বনের শাখা কথা বলে, কথা জাগে সাগর-জলে, এই ভুবনে আমরা কিছুই বলব না । , কোথা হতে লাগে রে টান, জীবনজলে ডাকে রে বান, আমরা তো এই প্ৰাণের টলায় টলব না ৷ ওরে হাসি রে হাসি ! ঐ হাসি শোনা যাচ্ছে । বঁাচা গেল, এতক্ষণে একটা হাসি শোনা গেল । যেন গুমোটের ঘোমটা খুলে গেল । এ যেন বৈশাখের এক পশলা বৃষ্টি । কার হাসি ভাই । শুনেই বুঝতে পারছিস নে, আমাদের চন্দ্ৰহাসের হাসি ? কী আশ্চর্য হাসি ওর । যেন ঝরনার মতো, কালো পাথরটাকে ঠেলে নিয়ে চলে । যাক, আমাদের চৌপদীর ফাড়া কাটল। এবার উঠে পড় । , এবার কাজ ছাড়া কথা নেই- চরাচরমিদং সৰ্বং কীর্তিৰ্যস্য স জীবতি । ও আবার কী রকম কথা হল। ঈশানকে এখনো চৌপদীর ভূত ছাড়ে নি। কীর্তি ? নদী কি নিজের ফেনাকে গ্রাহ্য করে। কীর্তি তো আমাদের ফেনা— ছড়াতে ছড়াতে চলে যাব | ফিরে তােকাব না | এসো ভাই চন্দ্ৰহাস এসো, তোমার হাসিমুখ যে ! চন্দ্ৰহাস । বুড়োর রাস্তার সন্ধান পেয়েছি”। কার কাছ থেকে । . চন্দ্ৰহাস । এই বাউলের কাছ থেকে । ও কী । ও যে অন্ধ ! চন্দ্ৰহাস | সেইজন্যে ওকে রাস্তা খুঁজতে হয় না, ও ভিতর থেকে দেখতে পায় । কী হে ভাই, ঠিক নিয়ে যেতে পারবে তো ? বাউল । ঠিক নিয়ে যাব । কেমন করে । বাউল। আমি যে পায়ের শব্দ শুনতে পাই। কান তো আমাদেরও আছে, কিন্তু