পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓዒbr রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী branches, hid you behind her mist mantle and watched you in the green sward where fairies love to play among meadow flowers. A few early birds sang your hymn of praise while the rest of the woodland choir were asleep. Then at the silent beckoning of the Eternal you rose higher and higher till you reached the mid-sky, making all quarters of heaven your own. Therefore, at this moment, after the end of centuries the palm groves by the Indian sea raise their tremulous branches to the sky murmuring your praise. বলাকার ৪ ও ৭ –সংখ্যক কবিতা দুইটির নিম্নোদধূত ব্যাখ্যা রবীন্দ্রনাথ অধ্যাপক চারুচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখিয়া পঠাইয়াছিলেন : 曾 ৪ ॥ বলাকার শঙ্খ বিধাতার আহবান শঙ্খ, এতেই যুদ্ধের নিমন্ত্রণ ঘোষণা করতে হয়অকল্যাণের সঙ্গে পাপের সঙ্গে অন্যায়ের সঙ্গে । উদাসীন ভাবে এ শঙ্খকে মাটিতে পড়ে থাকতে দিতে নেই। সময় এলেই দুঃখস্বীকারের হুকুম বহন করতে হবে, প্রচার করতে হবে । ৭ ৷ শাজাহানকে যদি মানবাত্মার বৃহৎ ভূমিকার মধ্যে দেখা যায় তা হলে দেখতে পাই, সম্রাটের সিংহাসনটুকুতে তার আত্মপ্রকাশের পরিধি নিঃশেষ হয় না- ওর মধ্যে তাকে কুলোয় না বলেই এত বড়ো সীমাকেও ভেঙে র্তার চলে যেতে হয়- পৃথিবীতে এমন বিরাট কিছুই নেই যার মধ্যে চিরকালের মতো তাকে ধরে রাখলে তঁকে খর্ব করা হয় না। আত্মাকে মৃত্যু নিয়ে চলে কেবলই সীমা ভেঙে ভেঙে । তাজমহলের সঙ্গে শাজাহানের যে-সম্বন্ধ সে কখনোই চিরকালের নয়- তার সঙ্গে তার সাম্রাজ্যের সম্বন্ধও সেইরকম । সে-সম্বন্ধ জীৰ্ণ পত্রের মতো খসে পড়েছে, তাতে চিরসত্যরূপী শাজাহানের লেশমাত্র ক্ষতি হয় নি। তাজমহলের শেষ দুটি লাইনের সর্বনাম ‘আমি’ ও ‘সে”— যে চলে যায় সে-ই হচ্ছে ‘সে’, তার স্মৃতিবন্ধন নেই- আর যে-অহং কঁদছে, সে-ই তো ভার-বাওয়া পদার্থ। এখানে “আমি” বলতে কবি নয়, “আমি-আমার” ক’রে যেটা কান্নাকাটি করে সেই সাধারণ পদার্থটা । আমার বিরহ, আমার স্মৃতি, আমার তাজমহল, যে-মানুষটা বলে তারই প্রতীক ঐ গোরস্থানে ; আর মুক্ত হয়েছে যে, সে লোক লোকান্তরের যাত্রী- তাকে কোনো একখানে ধরে না, না তাজমহলে, না ভুরুঙ্গুলো শাজাহান নামরূপধারী বিশেষ ইতিহাসের ক্ষণকালীন অস্তিত্বে। (প্রবাসী S\O8tr) ৭-সংখ্যক কবিতাটির শেষাংশ সম্বন্ধে প্ৰমথনাথ বিশীকে একটি পত্রে (২১। শ্রাবণ, ১৩৪৪) রবীন্দ্রনাথ লিখিয়াছিলেন : যে-প্ৰেম সম্মুখপানে--- উড়ে পড়েছিল বীজ জীবনের মাল্য হতে খসা । ইত্যাদি । কবিতা লিখেছি বলেই যে তার মানে সম্পূর্ণ বুঝেছি। এমন কথা মনে করবার কোনো হেতু নেই। মন থেকে কথাগুলো যখন সদ্য উৎসারিত হচ্ছিল, তখন নিশ্চয়ই এর মধ্যে একটা মানের ইঙ্গিত প্রচ্ছন্ন ছিল । সেই অন্তর্যামীর কাজ। সারা হতেই সে দৌড় দিয়েছে- । এখন বাইরে থেকে আমাকে মানে ভেবে বের করতে হবে- সেই বাইরের দেউড়িতে যেমন আমি আছি, তেমনি তুমিও আছে এবং আরো দশজন আছে, তাদের মধ্যে মতান্তর নিয়ে সর্বদাই হট্টগোল বেধে যায় । সেই গোলমালের মধ্যে আমার ব্যাখ্যাটি যোগ করে দিচ্ছি, যদি সন্তোষজনক না মনে কর, তোমার বুদ্ধি খাটাও, আমার আপত্তি করবার অধিকার নেই।