পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় ԳԵՏ ৩। শুনি ওই রুনুকুনুপায়ে পায়ে নুপুরধ্বনি ৪ এই তো ভরা হল ফুলে ফুলে ফুলের ডালা ৫ সুরের জালে কে জড়ালে আমার মন । ৬ কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা ৭। সমুখে শান্তিপারাবার। রচনা ঃ ৩ ডিসেম্বর ১৯৩৯ এ স্থলে ইহা উল্লেখ করা যাইতে পারে যে, ১, ৬ –সংখ্যক গানের স্বরলিপি বিভিন্ন সাময়িক পত্রে এবং ২, ৩, ও ৭ –সংখ্যক গানের স্বরলিপি যথাক্রমে ৬০, ৫৩ ও ৫৫ — সংখ্যক স্বরবিতান গ্রন্থে প্ৰকাশিত হইয়াছে। ৬ –সংখ্যক গানের স্বরলিপিকার শ্ৰীশান্তিদেব ঘোষ, অন্যান্য গানের স্বরলিপি শ্ৰীশৈলজারঞ্জন মজুমদারের সৌজন্যে । r ডাকঘর নাটক The Post Office (1914) রূপে অনুদিত হইয়া বিদেশে আদৃত ও অভিনীত হয় । ফাল্লুনী ফাল্লুনী ১৯১৬ খৃস্টাব্দে (১৩২২) গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় । গীতিভূমিকার গানগুলি ও সর্বশেষের উৎসবের গানটি একত্রে ‘বসন্তের পালা’ নামে নাটকের প্ৰবেশকরূপে, এবং নাটক অংশটি “ফক্ষ্মনী’ নামে ১৩২১ সালের চৈত্র মাসের সবুজ পত্রে সম্পূর্ণ পত্রিকাটি জুড়িয়া প্রকাশিত হয় । এই দুইটি অংশের রবীন্দ্রনাথ যে-দুইটি ভূমিকা লিখিয়াছিলেন তাহা সবুজ পত্ৰ হইতে নিম্নে যথাক্রমে মুদ্রিত হইল : ܝܢܐ ܙ ভূমিকা : বসন্তের পালা আর কয়েক পৃষ্ঠা পরে পাঠক ফাঙ্গুনী বলিয়া একটা নাটকের ধরনের ব্যাপার দেখিতে পাইবেন । এই বসন্তের পালার গানগুলি তল্লুরার মতো তাহারই মূল সুরকয়টি ধরাইয়া দিতেছে। অতএব এগুলি কানে করিয়া লইলে খেয়াল-নাটকের চেহারাটি ধরিবার সুবিধা হইতে পারে। একদা এপ্রেলের পয়লা তারিখে কবি তার কয়েকজন বন্ধুকে হােটেলে নিমন্ত্রণ করিয়াছিলেন । ভোজটা খুব রীতিমত জমিয়াছিল ; তার পরে পরিণামে যখন বিল শোধের জন্য অর্থ বাহির করিবার দরকার হইল। তখন কবির আর দেখা পাওয়া গেল না । সেদিনকার এই ছিল। কৌতুক । এবারকার এপ্রেলেরও কৌতুকটা সেই একই, গোড়াতেই তাহা বলিয়া রাখা ভালো । সবুজ পাতার পাত পাড়িয়া যে-বাসন্তিক ভোজের উদ্যোগ হইল কবি শেষ পর্যন্ত তাহাতে যোগ দিবেন। কিন্তু যখন সেই ভয়ংকর পরিণামের সময়টা উপস্থিত হইবে, যখন সকলে চীৎকার শব্দে অর্থ দাবি করিতে থাকিবে তখন, হে কবি,- “অন্যে বাক্য ক’বে কিন্তু তুমি রবে নিরুত্তর ” ভূমিকা : ফাল্গুনী বসন্তে ঘরছাড়ার দল পাড়া ছাড়িয়াছে। পাড়া জুড়াইয়াছে। ইহাদেরই বসন্ত-যাপনের কাহিনী কবি লিখিতেছেন । লেখাটা নাট্য কি না তাহা স্থির হয় নাই, ইহা রূপক কি না তাহা লইয়া তর্ক উঠিবে এবং যিনি লিখিতেছেন তিনি কবি কি না সে-সম্বন্ধে মতভেদ আছে । আর যা-ই হউক । ইহা ইতিহাস নহে। ইহার সত্য-মিথ্যার জন্য মূলে তিনিই দায়ী যিনি জগতে বসন্তের মতো এত বড়ো প্ৰলাপের অবতারণা করিয়াছেন । এই ঘরছাড়া দলের মধ্যে বয়স নানা রকমের আছে। কারও কারও চুল পাকিয়াছে কিন্তু । সে-খবরটা এখনো তাদের মনের মধ্যে পৌছায় নাই । ইহারা যাকে দাদা বলে তার বয়স সব চেয়ে কম। সে সবে চতুষ্পাঠী হইতে উপাধি লইয়া বাহির হইয়াছে। এখনো বাহিরের হাওয়া তাকে বেশ করিয়া লাগে নাই। এইজন্য যে সব চেয়ে প্ৰবীণ । আশা আছে বয়স যতই বাড়িবে |