পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ ՏՕ রবীন্দ্র-রচনাবলী সে অন্যদের মতোই কঁচা হইয়া উঠিবে । বিশ ত্ৰিশ বছর সময় লাগিতে পারে । ইহারা যাকে সর্দার বলিয়া ডাকে সর্দার ছাড়া তার অন্য কোনো পরিচয় খুঁজিয়া পাওয়া গেল না । আমার ভয় হইতেছে তত্ত্বজ্ঞানীরা ইহাকে কোনো একটা তত্ত্বের দলে ফেলিয়া ইহার পঞ্চােত্ব ঘটাইতে পারেন । কিন্তু আমার বিশ্বাস লোকটা তত্ত্বকথা নহে, সত্যকারই সর্দার । এই লোকটির কাজ চালাইয়া লওয়া- পথ হইতে পথে, লক্ষ্য হইতে লক্ষ্যে, খেলা হইতে খেলায় । কেহ যে চুপ করিয়া বসিয়া থাকিবে সেটা তার অভিপ্ৰায় নয় । কিন্তু যেহেতু সত্যকার সর্দার মাত্রেই বাহিরে হাঙ্গামা করে না ভিতরে কথা কয়, এই লোকটিকে রঙ্গমঞ্চে না দেখা গেলেই ইহার পরিচয় সুস্পষ্ট হইবে । t এই কাণ্ডটার দৃশ্য পথে ঘাটে বনে বাদাড়ে। বিশেষ করিয়া তাহার উল্লেখ করার দরকার নাই । যে দলের কথা বলিয়াছি কোনো তালিকায় তাহাদের জনসংখ্যা এ পর্যন্ত নির্দিষ্ট হয় নাই । এজন্য তাহাদের সংখ্যার কোনো পরিচয় দেওয়া গেল না । আর, দলের কে যে কোন কথাটা বলিতেছে তারও নিদর্শন রাখিলাম না । যে যেটা খুশি বলিতে পারে। কেবল উহাদের মধ্যে যারা কোনো কারণে বিশেষ ব্যক্তি হইয়া উঠিয়াছে তাদেরই কথাগুলোর সঙ্গে তাদের নামের যোগ থাকিবে । নক্ষত্ৰলোকের যে-কবি নীহারিকার কাব্য লেখেন তিনি আপনি খেয়ালমত অনেকখানি আলো ঝাপসা করিয়া আঁকিয়াছেন, তারই মাঝে মাঝে একটা-একটা তারা ফুটিয়া ওঠে। বেশ দেখা যাইতেছে, এই মর্তের লেখকটা তারই নকল করিবার চেষ্টা করে । আলোর নকল কতটা করিতে পারে জানি না। কিন্তু ঝাপসা নকল করিতে চমৎকার হাত পাকাইয়াছে। খুব বড়ো দূরবীন এবং খুব জোরালো অণুবীক্ষণ লাগাইয়াও ইহার মধ্যে বস্তু খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না। আর অর্থ ? অর্থমনৰ্থং ভাবয় নিত্যম। যত বড়ো লেখা তার চেয়ে ভূমিকা বড়ো হইলে লোকের সুবিধা হয়, এমন-কি, ভূমিকাটাই রাখিয়া লেখাটা বাদ দিতে পারিলেও কোনো উৎপাত থাকে না।— কিন্তু ফায়ুন প্রায় শেষ হইয়া আসিল, সময় আর বেশি নাই । ফাল্গুনীর সবুজ পত্রে প্রকাশিত ভূমিকাসংবলিত পাঠের এবং গীতিভূমিকার গানগুলির পাণ্ডুলিপি রবীন্দ্ৰ-ভবনে রক্ষিত আছে। বর্তমান সংস্করণের পাঠ তাহার সাহায্যে স্থানে স্থানে সংশোধিত হইল । পাণ্ডুলিপি-অনুসারে ফাঙ্গুনী-রচনার তারিখ ও স্থান, ২০ ফায়ুন ১৩২১, সুরুল । যে-সকল গানের রচনার তারিখ ও স্থান পাণ্ডুলিপিতে পাওয়া গিয়াছে নিম্নে উদ্ধৃত হইল : , ওগো দখিন হাওয়া, পথিক হাওয়া ১২ ফাল্লুন রাত্রি ১৩২১ সুরুল আকাশ আমায় ভরল আলোয় ১৩ ফায়ুন রাত্রি [১৩২১] সুরুল ওগো নদী, আপন বেগে ২৩ ফাল্লুন ১৩২১ রেলপথে আমরা খুঁজি খেলার সাথি ১৩ ফাল্গুন [:১৩২১] সুরুল ছাড়া গো তোরা ছাড়া গো ১২ ফায়ুন রাত্রি [১৩২১] সুরুল আমরা নূতন প্ৰাণের চর ১৩ ফাল্পনি প্রভাত [১৩২১] সুরুল চলি গো, চলি গো, যাই গো চলে ২৩ ফায়ুন ১৩২১ রেলপথে ওর ভাব দেখে যে পায় হাসি ১৩ ফাল্গুন [১৩২১] সুরুল আর নাই যে দেরি ( ১৪ ফাল্লুন প্রভাত [(১৩২১] সুরুল । বিদায় নিয়ে গিয়েছিলেম । ১৩ ফাল্লুন রাত্রি [:১৩২১] সুরুল এই কথাটাই ছিলেম ভুলে। ১৩ ফাল্গুন [:১৩২১] সুরুল এবার তো যৌবনের কাছে ১৩ ফাল্গুন [:১৩২১] সুরুল