পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ ՏՀ রবীন্দ্র-রচনাবলী চেষ্টা করছি আমাদের শিশুগাইয়ের দল বাড়িয়ে তুলতে - দু-একটি বড়ো মেয়ের গলাও পাবার চেষ্টা করছি- এখানে কিছুকাল এসে থেকে শিখে যেতে পারে এমন বেশ গলাওয়ালা মেয়ের সন্ধান আছে কি । ছেলের দলের মধ্যে দু-চারটি মেয়েকে সুন্দর করে সাজিয়ে দিলে বেশ দেখতে হবে । রাস্তা দিয়ে পথিক-চলাচলের by playGT GODINETT IPGK ffiCS 93GK ? সমস্তক্ষণই আমাদের অভিনয়ের পিছন দিয়ে কেবল এইরকম যাতায়াত চালালে বেশ হয় । -- ফাল্গুনীর কথাটা মনের মধ্যে সর্বদাই জাগিয়ে রেখো— ভাবতে ভাবতে ক্ৰমে ক্রমে এক-একটা suggestion মনে এসে পড়বে । চোখ এবং কান দুইয়েরই একেবারে পেট ভরিয়ে তুলতে হবে । তার পরে মানে বুঝতে না পারে না-ই পারলে- বুঝিয়ে দেওয়ার চেয়ে মজিয়ে দেওয়াটাই দরকার । R প্রোগ্রাম নিশ্চয় পেয়েছ । তাতে ‘বশীকরণ’ নাম বদলে “বহুবিবাহ করে দিয়েছি । তোমাদের রিহার্সেল কী রকম চলছে । মেয়ে সাজাবার সমস্যা কী রকম সমাধান করলে ।-- বহুবিবাহে মনোরমা এবং মাতাজি একই লোককে সাজানো যেতে পারে মনে রেখো । মনোরমাকে একটিও কথা বলতে হয় নি- সে audience-এর দিকে পিঠ করে ঘোমটা দিয়ে চুপ করে বসে থাকবে- গোফ দাড়ি থাকলেও ক্ষতি হবে না- নেপথ্য থেকে একজন কেউ ওর গানটা গেয়ে দেবে । অবশ্য, মাতাজিকে স্পষ্ট করে দর্শন দিতে হবে । তাকে দিব্য করে ত্রিপুন্ড প্রভৃতি একে রুদ্রাক্ষের মালা জড়িয়ে হাতে এক ত্ৰিশূল দিয়ে ভৈরবী-গোছের চেহারা করে দিতে হবে — অথচ দেখতে ভালো হওয়া চাই । 峰 ফাল্লুনীর সর্দার যে সাজবে সে যখন গুহা থেকে বেরিয়ে আসবে তখন তার হাতে ধনুর্বাণ দিতে হবে । সেটা তৈরি রেখো । সর্দারকে একটু বেশ সাজানো চাই । অন্য যারা আছে তারা নানা রঙ-বেরঙের চাদর উড়িয়ে পাগড়ি জড়িয়ে বেশ সরগরম করে তুলবে । বাউলকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত একেবারে। ধবধবে সাদা করে দিয়ো । V ফাল্গুনীটা এতই ছোটাে যে যারা দশটাকা দিয়ে আসবে তারা দুঃখিত হবে । ওর সঙ্গে একটা ফাউ না দিলে কি চলবে । না-হয় বৈকুণ্ঠের খাতাটা জুড়ে দাও-না । বহুবিবাহটা ছোটাে আছে, ধা করে মুখস্থ হয়ে যাবে।— চারু, দ্বিজেন বাগচী, সুরেশ, মণিলাল প্রভৃতিকে এতে লাগিয়ে দাও-না । নিতান্তই যদি না পার আমার addition"-ওয়ালা বইটা আমাকে পাঠিয়ে দিয়ো, দেখি যদি এখানে কোনোরকম করে করে-তুলতে পারি। আমাদের পক্ষে খুবই শক্ত, তবু তোমরা মুগ্ধ আমাদের পরিত্যাগই করলে তখন একবার প্রাণপণে চেষ্টা করব আত্মশক্তিতে কী করতে - •o. বাংলা প্রোগ্রামটা তুমি মনোমোহন ঘোষকে দিয়ে ইংরেজি করিয়ে নাও- এখন আমার এত কম সময় যে ও-ভার আমি নিতে পারব না। 8 কাল সন্ধেবেলায় তোমার টেলিগ্রাফের তাড়া পেয়ে কালই লিখে ফেলেছি । সংক্ষেপে হলে চলবে না- কাজেই একটু ফলিয়ে ছেলেদের গানগুলো তর্জমা করে একটু বেশ পড়বার যোগ্য করে তুলতে হল ।-- * ৪ সংযোজনাংশ পরে দ্রষ্টব্য ।