পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুনশ্চ ভয়— পাছে বিলম্ব ক’রে বঞ্চিত হয় । দিনের পর দিন গেল । দিগন্তের পর দিগন্ত আসে, অজ্ঞাতের আমন্ত্রণ অদৃশ্ব সংকেতে ইঙ্গিত করে। ওদের মুখের ভাব ক্রমেই কঠিন আর ওদের গঞ্জন উগ্রতর হতে থাকে । و!\ রাত হয়েছে। পথিকেরা বটতলায় আসন বিছিয়ে বসল। একটা দমকা হা ওয়ায় প্রদীপ গেল নিবে, অন্ধকার নিবিড়— যেন নিদ্র ঘনিয়ে উঠল মুছায়। জনতার মধ্য থেকে কে-একজন হঠাৎ দাড়িয়ে উঠে অধিনেতার দিকে আঙুল তুলে বললে, মিথ্যাবাদী, আমাদের প্রবঞ্চনা করেছ। ভৎসনা এক কণ্ঠ থেকে আরেক কণ্ঠে উদগ্র হতে থাকল । তীব্র হল মেয়েদের বিদ্বেষ, প্রবল হল পুরুষদের তর্জন । অবশেষে একজন সাহসিক উঠে দাড়িয়ে হঠাৎ তাকে মারলে প্রচণ্ড বেগে । অন্ধকারে তার মুখ দেখা গেল না। একজনের পর একজন উঠল, আঘাতের পর আঘাত করলে, তার প্রাণহীন দেহ মাটিতে লুটিয়ে পড়ল । রাত্রি নিস্তব্ধ । ঝর্নার কলশন্ধ দূর থেকে ক্ষীণ হয়ে আসছে। বাতাসে যুর্থীর মৃদুগন্ধ ।

  • যাত্রীদের মন শঙ্কায় অভিভূত । સના মেয়েরা কাদছে, পুরুষেরা উত্তাক্ত হয় ভৎসনা করছে, চুপ করে। কুকুর ডেকে ওঠে, চাবুক খেয়ে আর্ত কাকুতিতে তার ডাক থেমে যায়। রাত্রি পোহাতে চায় না । অপরাধের অভিযোগ নিয়ে মেয়ে পুরুষে তর্ক তীব্র হতে থাকে

SNS