অক্ষয় –
চিরকুমার-সভা St a
গান
না, না গো, না
কোরো না ভাবনা— যদি বা নিশি যায় যাব না, যাব না।
যখনি চলে যাই
আসিব বলে যাই, আলো-ছায়ার পথে করি আনাগোনা । দোলাতে দোলে মন মিলনে বিরহে । বারে বারেই জানি তুমি তো চির হে।
ক্ষণিক আড়ালে
বারেক দাড়ালে মরি ভয়ে ভয়ে পাব কি পাব না ।
নীরবালা। বড়ে নিশ্চিন্ত হলুম। তা হলে ঘুমোতে পারি।
অক্ষয় । নিৰ্ভয়ে । [ নৃপবালা ও নীরবালার প্রস্থান শৈলবালা। মুখুজ্জেমশায়, আমি ঠাট্টা করছি নে— আমি চিরকুমার-সভার সভ্য হব। কিন্তু আমার সঙ্গে পরিচিত একজন কাউকে চাই তো । তোমার বুঝি আর সভ্য
হবার জো নেই ?
অক্ষয়। না, আমি পাপ করেছি। তোমার দিদি আমার তপস্যা ভঙ্গ করে আমাকে
স্বৰ্গ হতে বঞ্চিত করেছেন ।
শৈলবালা । তা হলে রসিকদাদাকে ধরতে হচ্ছে । তিনি তো কোনো সভার সভ্য
না হয়েও চিরকুমার-ব্রত রক্ষা করেছেন।
অক্ষয়। সভ্য হলেই এই বুড়োবয়সে ব্রতটি খোয়াবেন। ইলিশমাছ অমনি দিব্যি থাকে, ধরলেই মারা যায় ; প্রতিজ্ঞাও ঠিক তাই, তাকে বাধলেই তার সর্বনাশ ।
0 রসিকের প্রবেশ
A. রসিকদাদার সন্মুখের মাথায় টাক, গোক পাক, গৌরবর্ণ দীর্ঘাকৃতি
অক্ষয়। ওরে পাষণ্ড, ভগু, অকালকুষ্মাণ্ড । রসিক। কেন হে মত্তমন্থর কুঞ্জকুঞ্জর পুঞ্জঅঞ্জনবর্ণ।
অক্ষয়। তুমি আমার খালী-পুষ্পবনে দাবানল আনতে চাও?
শৈলবালা। রসিকদাদা, তোমারই বা তাতে কী লাভ ।
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৬৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
