পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী " . عون لا দারুকেশ্বর । (কলিমদিকে ) এই-যে চাচা। আজ রান্নাটা কী হয়েছে বলে দেখি। অক্ষয়বাবু, কারি না কট্‌লেট্‌ ৷ অক্ষয় । ( অন্তরালের দিকে কটাক্ষ করিয়া ) সে আপনারা যা ভালো বোঝেন । দারুকেশ্বর । আমার তো মত, ব্রাহ্মণেভ্যো নম: ব’লে সব-কটাকেই আদর করে निड़े । h অক্ষয় । তা তো বটেই, ওরা সকলেই পূজ্য। কলিমদি সেলাম করিয়া চলিয়া গেল । অক্ষয় । ( কিঞ্চিং গলা চড়াইয়া ) মশায়রা কি তা হলে আজ রাত্রেই ক্রিশচীন হতে চান | দারুকেশ্বর । আমার তো কথাই আছে, শুভস্য শীঘ্ৰং । আজই ক্রিশান হব, এখনই ক্রিশচীন হব, ক্রিশান হয়ে তবে অন্য কথা । মশায়, আর ওই পুইশাক কলাইয়ের ডাল খেয়ে প্রাণ বঁাচে না । আমুন আপনার পাদরি ডেকে । উচ্চস্বরে গান যাও ঠাকুর চৈতন চুটুকি নিয়া, এসে দাড়ি নাড়ি কলিমন্দি মিঞা । ভূত্যের প্রবেশ _. ভৃত্য । ( অক্ষয়ের কানে কানে ) মাঠাকরুন একবার ডাকছেন। অক্ষয় উঠির দ্বারের অন্তরালে গেলে জগত্তারিণী । এ কী । কাগুটা কী । অক্ষয় । ( গম্ভীরমুখে ) মা সে-সব পরে হবে, এখন ওরা হুইস্কি চাচ্ছে, কী করি । তোমার পায়ে মালিশ করবার জন্যে সেই-যে ব্রাণ্ডি এসেছিল, তার কি কিছু বাকি আছে। জগত্তারিণী। ( হতবুদ্ধি হইয়া ) বল কী বাছা। ব্রাণ্ডি খেতে দেবে ? অক্ষয়। কী করব মা, শুনেইছ তো, ওর মধ্যে একটি ছেলে আছে যার জল খেলেই সর্দি হয়, মদ না খেলে আর-একটির মুখে কথাই বের হয় না। জগত্তারিণী। ক্রিশান হবার কথা কী বলছে ওরা। অক্ষয়। ওরা বলছে হিন্দু হয়ে খাওয়া-দাওয়ার বড়ো অস্থবিধে, পুইশাক কলায়ের ডাল খেলে ওদের অসুখ করে। i f জগত্তারিণী । (অবাক হইয়া) তাই বলে কি ওদের আজ রাতেই মূৰ্গি খাইয়ে ক্রিশচান করবে নাকি । * ; অক্ষয়। তা, মা, ওরা যদি রাগ করে চলে যায় তা হলে দুটি পাত্র এখনই হাতছাড়া