পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, ११२ রবীন্দ্র-রচনাবলী ত্বদ্বৎসঙ্গে লীনাং মদমুকুলিতাক্ষীং পুনরিমাং কদাহং সেবিধ্যে কিসলয়কলাপব্যজনিনীম্। শ্ৰীশ। বেশ বেশ রসিকবাবু, চমৎকার। কিন্তু, ওর মানেটা বলে দিতে হবে। ছন্দের ভিতর দিয়ে ওর রসের গন্ধটা পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু অনুস্বার-বিসর্গ দিয়ে একেবারে এটে বন্ধ করে রেখেছে। ** রসিক । বাংলায় একটা তর্জমাও করেছি ; পাছে সম্পাদকরা খবর পেয়ে হুড়াহুড়ি লাগিয়ে দেয়, তাই লুকিয়ে রেখেছি— শুনবেন শ্ৰীশবাবু?— কুঞ্জকুটিরের স্নিগ্ধ অলিন্দের পর কালিন্দীকমলগন্ধ ছুটিবে সুন্দর— লীন রবে মদিরাক্ষী তব অঙ্কতলে, বহিবে বাসস্তীবাস ব্যাকুল কুম্ভলে । র্তাহারে করিব সেবা, কবে হবে হয়, কিশলয়পাখাখানি দোলাইব গায় ? শ্ৰীশ। বা, বা, রসিকবাবু, আপনার মধ্যে এত আছে তা তো জানতুম না। ’ রসিক। কী করে জানবেন বলুন । কাব্যলক্ষ্মী যে তার পদ্মবন থেকে মাঝে মাঝে এই টাকের উপরে খোলা হাওয়া খেতে আসেন এ কেউ সন্দেহ করে না । ( হাত বুলাইয়া) কিন্তু, এমন ফাক জায়গা আর নেই। শ্ৰীশ । আহাহা রসিকবাবু, যমুনাতীরে সেই স্নিগ্ধ-অলিন্দ-ওয়ালা কুঞ্জকুটিরটি আমার ভারী মনে লেগে গেছে। যদি পায়োনিয়রে বিজ্ঞাপন দেখি সেটা দেনার দায়ে নিলেমে বিক্রি হচ্ছে তা হলে কিনে ফেলি । , রসিক। বলেন কী শ্ৰীশবাবু। শুধু অলিন্দ নিয়ে করবেন কী। সেই মদমুকুলিতাক্ষীর কথাটা ভেবে দেখবেন । সে নিলেমে পাওয়া শক্ত । শ্ৰীশ । কার রুমাল এখানে পড়ে রয়েছে ! রসিক। দেখি দেখি । তাই তো । দুর্লভ জিনিস আপনার হাতে ঠেকে দেখছি । বাঃ, দিব্য গন্ধ । শ্লোকের লাইনটা বদলাতে হবে মশায়, ছন্দ ভঙ্গ হয় হোক গে— বাসস্তীনবপরিমলোদগাররুমালাং । শ্ৰীশবাবু, এ রুমালটাতে তো আমাদের কুমারসভার পতাকা নির্মাণ চলবে না। দেখেছেন কোণে একটি ছোট্ট ন’ অক্ষর লেখা রয়েছে ? ঐশ। কী নাম হতে পারে বলুন দেখি । নলিনী ? না, বড্ড চলিত নাম। নীলাম্বুজা ? ভয়ংকর মোটা । নীহারিক ? বড়ো বাড়াবাড়ি। বলুন-না রসিকবাবু, আপনার কী মনে श्य ।