পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ર૭8 রবীন্দ্র-রচনাবলী পূর্ণ। রাত্ৰি যেন না যায়— বিপিন। চন্দ্ৰ যেন পূর্ণচন্দ্র হয়— الضيم পূর্ণ। বিপিন যেন বসন্তের ফুলে প্রফুল্প হয়ে ওঠে— শ্ৰীশ । এবং হতভাগ্য শ্ৰীশ যেন কুঞ্জম্বারের কাছে এসে উকিঝু কি না মারে। পূর্ণ। দূর হোক গে শ্ৰীশবাবু, তোমার সেই আবাহন’ থেকে আর-একটা কিছু কবিতা আওড়াও । চমৎকার লিখেছে হে— ' . নিশি না পোহাতে জীবনপ্রদীপ জালাইয়া যাও প্রিয়া । আহা! একটি জীবনপ্রদীপের শিখাটুকু আর-একটি জীবনপ্রদীপের মুখের কাছে কেবল একটু ঠেকিয়ে গেলেই হয়, বাস, আর কিছুই নয়—দুটি কোমল অঙ্গুলি দিয়ে দীপখানি একটু হেলিয়ে একটু ছুইয়ে যাওয়া, তার পরেই চকিতের মধ্যে সমস্ত আলোকিত। ( আপন মনে )— নিশি না পোহাতে জীবনপ্রদীপ জালাইয়া যাও প্রিয়া । শ্ৰীশ। পূর্ণবাবু, যাও কোথায়। পূর্ণ। চন্দ্রবাবুর বাসায় একখানা বই ফেলে এসেছি, সেইটে খুজতে যাচ্ছি। বিপিন। খুজলে পাবে তো ? চন্দ্রবাবুর বাসা বড়ো এলোমেলো জায়গা— সেখানে যা হারায় সে আর পাওয়া যায় না। [ পূর্ণের প্রস্থান শ্ৰীশ । (দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া ) পূর্ণ বেশ আছে ভাই বিপিন । বিপিন । ভিতরকার বাম্পের চাপে ওর মাথাটা সোডাওআটারের ছিপির মতো একেবারে টপ করে উড়ে না যায়। শ্ৰীশ । যায় তো যাক-না। কোনোমতে লোহার তার এটে মাথাটাকে ঠিক জায়গায় ধরে রাখাই কি জীবনের চরম পুরুষার্থ। মাঝে মাঝে মাথার বেঠিক না হলে রাত দিন মুটের বোঝার মতো মাথাটাকে বয়ে বেড়াচ্ছি কেন । দাও ভাই, তার কেটে, একবার উডুক। সেদিন তোমাকে শোনাচ্ছিলুম— i. ওরে সাবধানী পথিক, বারেক পথ ভুলে মর ফিরে । খোলা আঁখি দুটো অন্ধ করে দে আকুল আঁখির নীরে। সে ভোলা পথের প্রাস্তে রয়েছে হারানো হিয়ার কুঞ্জ—