পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

外賴@版 ن: ه اغ হইয়াছে। স্থানটা যদিও লুকোচুরি খেলার পক্ষে মন্দ নয়, কিন্তু তবু এখান হইতে সন্ধান করিয়া বাহির করা নিতান্ত অসম্ভব নহে। । যজ্ঞনাথ মন্দিরের মধ্য হইতে একখণ্ড পাথর উঠাইয়া ফেলিলেন । বালক দেখিল, নিম্নে একটা ঘরের মতো এবং সেখানে প্রদীপ জলিতেছে। দেখিয়া অত্যন্ত বিস্ময় এবং কৌতুহল হইল, সেই সঙ্গে ভয়ও করিতে লাগিল। একটি মই বাহিয়া যজ্ঞনাথ নামিয়া গেলেন, তাহার পশ্চাতে নিতাইও ভয়ে ভয়ে নামিল । নীচে গিয়া দেখিল চারি দিকে পিতলের কলস | মধ্যে একটি আসন এবং তাহার সম্মুখে সি দুর, চন্দন, ফুলের মালা, পূজার উপকরণ। বালক কৌতুহল-নিবৃত্তি করিতে গিয়া দেখিল, ঘড়ায় কেবল টাকা এবং মোহর । যজ্ঞনাথ কহিলেন, নিতাই, আমি বলিয়াছিলাম আমার সমস্ত টাকা তোমাকে দিব । আমার অধিক কিছু নাই, সবে এই ক'টি মাত্র ঘড়া আমার সম্বল। আজ আমি ইহার সমস্তই তোমার হাতে দিব ? বালক লাফাইয়া উঠিয়া কহিল, সমস্তই! ইহার একটি টাকাও তুমি লইবে না? “যদি লই তবে আমার হাতে যেন কুষ্ঠ হয়। কিন্তু একটা কথা আছে। যদি কখনো আমার নিরুদ্দেশ নাতি গোকুলচন্দ্র কিম্বা তাহার ছেলে কিম্বা তাহার পৌত্র কিম্বা তাহার প্রপৌত্র কিম্বা তাহার বংশের কেহ আসে তবে তাহার কিম্বা তাহদের হাতে এই-সমস্ত টাকা গনিয়া দিতে হইবে।” বালক মনে করিল, যজ্ঞনাথ পাগল হইয়াছে। তৎক্ষণাৎ স্বীকার করিল, “আচ্ছা ? যজ্ঞনাথ কহিলেন, তবে এই আসনে বইস ’ ‘কেন ? ‘তোমার পূজা হইবে । ‘কেন ? ‘এইরূপ নিয়ম |’ বালক আসনে বসিল যজ্ঞনাথ তাহার কপালে চন্দন দিলেন, সি দুরের টিপ দিয়া দিলেন, গলায় মালা দিলেন ; সন্মুখে বসিয়া বিড়, বিড় করিয়া মন্ত্ৰ পড়িতে লাগিলেন। দেবত হইয়া বসিয়া মন্ত্ৰ শুনিতে নিতাইয়ের ভয় করিতে লাগিল ; ডাকিল, ‘দাদা ? যজ্ঞনাথ কোনো উত্তর না করিয়া মন্ত্র পড়িয়া গেলেন। অবশেষে এক-একটি ঘড়া বহু কষ্টে টানিয়া বালকের সম্মুখে স্থাপিত করিয়া উৎসর্গ করিলেন এবং প্রত্যেকবার বলাইয়া লইলেন, যুধিষ্ঠির কুণ্ডের পুত্র গদাধর কুও তস্ত পুত্র