०१० রবীন্দ্র-রচনাবলী
করব ; এ বেদনা যেমন তোমার তেমনি আমার। তাই কবি বলছেন, আমি যে দুঃখ পাচ্ছি তাতে তুমি লজ্জা কোরো না প্ৰভু –
প্রেমের পত্নী তোমার আমি, আমার কাছে লাজ কী স্বামী ! তোমার সকল ব্যথার ব্যর্থী আমায়
করো নিশিদিন । নিদ্রা নাহি চক্ষে তব, আমিই কেন ঘুমিয়ে রব! বিশ্ব তোমার বিরাট গেহ, 尊
আমিও বিশ্বে লীন ।
ভোগের স্থখ তো আমি চাই নে— যারা দাসী তাদের সেই সুখের বেতন দিয়ে । আমি যে তোমার পত্নী ; আমি তোমার বিশ্বের সমস্ত দুঃখের ভার তোমার সঙ্গে বহন করব। সেই দুঃখের ভিতর দিয়েই সেই দুঃখকে উত্তীর্ণ হব। আমার মধ্যে তোমার প্রকাশ অখণ্ড মিলনে সম্পূর্ণ হবে। সেই জন্যেই, আমি বলছি নে আমাকে স্থখ দাও, আমি বলছি: আবিরাবীর্ম এধি। হে প্রকাশ, আমার মধ্যে তুমি প্রকাশিত হও ।
আমি তোমার ধর্মপত্নী,
ভোগের দাসী নহি । আমার কাছে লাজ কি স্বামী,
নিষ্কপটে কহি— আমায় প্রভু, দেখাইয়ো না
সুখের প্রলোভন, তোমার সাথে দুঃখ বহি
সেই তো পরম ধন। ভোগের দাসী তোমার নহি, |
তাই তো ভূলাও নাকো, মিথ্যা মুখে মিথ্যা মানে ।
দূরে ফেলাও নাকো। পতিব্ৰতা সতী আমি,
তাই তো তোমার ঘরে
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৭৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
