পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামীটি তার লোক ভালো— আমার লেখা ভালোবাসে, ঠাটা করলে যথাস্থানে যথোচিত হাসতে জানে, খুব সাধারণ কথা সহজেই পারে কইতে, অাবার হঠাৎ কোনো-একদিন আলাপ করে —লোকে যাকে চোখ টিপে বলে কবিত্ব— রাত্রি এগারোটার সময় শালবনে ময়ূরাক্ষী নদীর ধারে । বাড়ির পিছন দিকটাতে শাকসবজির থেত । বিঘে-দুয়েক জমিতে হয় ধান । আর অাছে আম-কঁঠালের বাগিচা আস্শে ওড়ার-বেড়া-দেওয়া । সকালবেলায় আমার প্রতিবেশিনী গুন গুন গাইতে গাইতে মাখন তোলে দুই থেকে, তার স্বামী যায় দেখতে খেতের কাজ লাল টাট, ঘোড়ায় চড়ে । নদীর ও পারে রাস্তা, রাস্তা ছাড়িয়ে ঘন বন— সে দিক থেকে শোনা যায় সাওতালের বঁাশি আর শীতকালে সেখানে বেদের করে বাস, ময়ূরাক্ষী নদীর ধারে । এই পর্যন্ত । এ বাস আমার হয় নি বাধা, হবেও না । ময়ূরাক্ষী নদী দেখিও নি কোনো দিন । ওর নামটা শুনি নে কান দিয়ে, নামটা দেখি চোগের উপরে— २ ४