এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৩৮২ রবীন্দ্র-রচনাবলী কন্দর থেকে বিগলিত হয়ে পড়ছে এবং ভবিষ্যতের দিক্ৰপ্রান্তে কোন মহাসমুদ্র তাকে অভ্যর্থনা করে জলদমন্দ্রে মঙ্গলবাণী উচ্চারণ করছে। ভস্মরাশির মধ্যে যে প্রাণ নিশ্চেতন হয়ে আছে সেই প্রাণকে সঞ্জীবিত করবার এই ধারা । অতীতের সঙ্গে অনাগতকে অবিচ্ছিন্ন কল্যাণের সূত্রে এক করে দেবার এই ধারা। এবং বিশ্বজগতে জ্ঞান ও ভক্তির দুই তীরকে সুগভীর স্থপবিত্র জীবনযোগে সম্মিলিত করে দিয়ে কর্মের ক্ষেত্রকে বিচিত্র শস্যপর্যায়ে পরিপূর্ণরূপে সফল করে তোলবার জন্যেই ভারতের অমৃত-কলমন্ত্র-কল্পোলিত এই উদার স্রোতস্বতী । বৈশাখ ১৩১৮