পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী ভিতর থেকে পড়ল একটি আখোলা চিঠি, আমারি ঠিকানা লেখা অমলির র্কাচ হাতের অক্ষরে । শুনেছি ডুবে মরবার সময় অতীত কালের সব ছবি এক মুহূর্তে দেখা দেয় নিবিড় হয়ে— চিঠিখানি হাতে নিয়ে তেমনি পড়ল মনে অনেক কথা এক নিমেষে । অমলার মা যখন গেলেন মারা তপন ওর বয়স ছিল সাত বছর । কেমন একটা ভয় লাগল মনে, ও বুঝি র্বাচবে না বেশি দিন । কেননা বড়ো করুণ ছিল ওর মুখ, যেন অকালবিচ্ছেদের ছয় ভাবীকাল থেকে উন্টে এসে পড়েছিল ওর বড়ো বড়ো কালো চোখের উপরে । সাহস হ’ত না ওকে সঙ্গছাড়া করি । কাজ করছি আপিসে বসে, হঠাৎ হ’ত মনে যদি কোনো আপদ ঘটে থাকে । বঁকিপুর থেকে মাসি এল ছুটিতে— বললে, ‘মেয়েটার পড়াশুনে হল মাটি । মুখু মেয়ের বোঝা বইবে কে আজকালকার দিনে ? লজ্জা পেলেম কথা শুনে তার, বললেম কালই দেব ভর্তি করে বেথুনে