পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুনশ্চ বাশবনের তল দিয়ে দুর্গ নাম করতে করতে চলে ঘরে— সময় নেই, জরুরি মকৰ্দমা । দিঘিটা আছে তার দলিলে, নেই তার জগতে । আর ছেলেটার দরকার নেই কিছুতেই, তাই সমস্ত বন-বাদাড় খাল-বিল তারই— নদীর ধার, পোড়ো জমি, ডুবে নোঁকো, ভাঙা মন্দির, তেঁতুল গাছের সবার উচু ডালটা। জামবাগানের তলায় চরে ধোবাদের গাধা, ছেলেট তার পিঠে চড়ে— ছড়ি হাতে জমায় ঘোড়দৌড় । ধোবাদের, গাধাটা আছে কাজের গরজে— ছেলেটার নেই কোনো দরকার, তাই জন্তুটা তার চার পা নিয়ে সমস্তটা তারই যাই বলুন-না জজসাহেব । বাপ মা চায় পড়ে শুনে হবে সে সদর-অtল ; সর্দার পোড়ে ওকে টেনে নামায় গণধার থেকে, হেঁচড়ে অানে বঁাশবন দিয়ে, হাজির করে পাঠশালায় । মাঠে ঘাটে হাটে বাটে জলে স্থলে তার স্বরাজ— হঠাৎ দেহটাকে ঘিরলে চার দেয়ালে, মনটাকে আঠা দিয়ে এটে দিলে পুথির পাতার গায়ে । আমিও ছিলেম একদিন ছেলেমাতুষ । অামার জন্যেও বিধাতা রেখেছিলেন গড়ে অকৰ্মণ্যের অপ্রয়োজনের জল স্থল আকাশ। তবু ছেলেদের সেই মস্ত বড়ো জগতে । মলল না অামার জায়গা | আমার বাসা অনেক কালের পুরোনো বাড়ির