পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR SRlbr রবীন্দ্র-রচনাবলী (সরলাকে বিরক্তভাবে) নীরুকে ওষুধ দাও নি আজ, সারাদিন কিছু খেতেও দেওয়া হয় নি ? নীরজা। ওকে বকছ কেন ? ওর দোষ কী? আমিই দুষ্টুমি করে খাই নি। আমাকে বকো-না। সরলা, তুমি যাও। মিছে কেন দাঁড়িয়ে বকুনি খাবে। আদিত্য। যাবে কি, ওষুধ বের করে দিক, হরলিকস্ মিন্ধ তৈরি করে আনুক । নীরজা। আহা, সমস্ত দিন ওকে মালীর কাজে খাটিয়ে মারো তার উপরে আবার নার্সের কাজ কেন! একটু দয়া হয় না তোমার মনে ? আয়াকে ডাকো-না। আদিত্য। আয়া কি ঠিকমতো পারবে এ-সব কাজ ? নীরজা। ভারি তো কাজ, খুব পারবে। আরো ভালোই পারবে। আদিত্য। কিন্তুনীরজা। কিন্তু আবার কিসের। আয়া! আয়া! আদিত্য ! অত উত্তেজিত হােয়ো না। একটা বিপদ ঘটবে দেখছি। সরলা। আমি আয়াকে ডেকে দিচ্ছি। न्नतव्! 5क्ता न আয়া এসে ওষুধ পথ্য করাল আদিত্য। (আয়াকে) সরলাদিদিকে ডেকে দাও। নীরজা। কথায় কথায় কেবলই সরলাদিদি, বেচারাকে তুমি অস্থির করে তুলবে দেখছি। আদিত্য। কাজের কথা আছে। নীরজা। থাক-না এখন কাজের কথা। আদিত্য। বেশিক্ষণ লাগবে না। নীরজা। সরলা মেয়েমানুষ, ওর সঙ্গে এত কাজের কথা কিসের? তার চেয়ে হল মালীকে ডাকো-না ! আদিত্য। তোমাকে বিয়ে করবার পর থেকে একটা কথা আবিষ্কার করেছি যে, মেয়েরাই কাজের, পুরুষরা হাড়ে অকেজোঁ। আমরা কাজ করি দায়ে পড়ে, তোমরা কাজ করো প্ৰাণের উৎসাহে। এই সম্বন্ধে একটা গ্ৰীসিস লিখব মনে করেছি। আমার ডায়রি থেকে বিস্তর উদাহরণ १ोंg2ों यांति । নীরজা। সেই মেয়েকেই আজ তার প্রাণের কাছ থেকে বঞ্চিত করেছে যে বিধাতা, তাকে কী বাড়িতে ভূতের বাসা হল। সরলার প্রবেশ আদিত্য। আর্কিড-ঘরের কাজ হয়ে গেছে? সরলা। হা, হয়ে গেছে। আদিত্য। সবগুলো ? সরলা। সবগুলোই। আদিত্য। আর গোলাপের কাটিং? সরলা। মালী তার জমি তৈরি করছে।