পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

äc ܔ R N আদিত্য। জমি ! সে তো আমি আগেই তৈরি করে রেখেছি। হলা মালীর উপর ভর দিয়েছি, তা হলেই দাঁতনকাঠির চাষ হবে। আর কি ! নীরজা। সরলা, যাও তো, কমলালেবুর রস করে নিয়ে এসো গে, তাতে একটু আদার রস দিয়ে, আর মধু। সরলা মাথা হেঁট করে বেবিয়ে গোল (আদিত্যকে) আজ তুমি ভোরে উঠেছিলে যেমন আমরা রোজ উঠাতুম ? यांत्रिडा। शै, उप्लैश्लूिटा। নীরজা। ঘড়িতে তেমনি এলারমের দম দেওয়া ছিল ? আদিত্য। ছিল বৈকি। নীরজা। সেই নিম গাছতলায় সেই কঁাটােগাছের গুড়ি। তার উপরে চায়ের সরঞ্জাম। সব ঠিক রেখেছিল বাসু? আদিত্য। রেখেছিল। নইলে খেসারতের দাবিতে নালিশ রুজু করতুম তোমার আদালতে । নীরজা। দুটাে চৌকিই পাতা ছিল ? আদিত্য। পাতা ছিল সেই আগেকার মতোই। আর ছিল সেই নীল-পাড়-দেওয়া বাসষ্ঠী রঙের চায়ের সরঞ্জাম, দুধের জাগ রুপোর, ছোটো সাদা পাথরের বাটিতে চিনি, আর ড্রাগন-আঁকা জাপানি ট্রে। নীরজা। অন্য চৌকিটা খালি রাখলে কেন ? আদিত্য। ইচ্ছে করে রাখি নি। আকাশে তারাগুলো গোনাগুনতি ঠিকই ছিল, কেবল শুক্লপঞ্চমীর চাঁদ রইল দিগন্তের বাইরে। সুযোগ থাকলে তাকে আনতেম ধরে। নীরজা। সরলাকে কেন ডাকো না তোমার চায়ের টেবিলে ? আদিত্য। সকালবেলায় বোধ হয় সে জপতপ কিছু করে, আমার মতো ভজনপূজনহীন ম্লেচ্ছ (ଏ) କ{& ! নীরজা। চা খাওয়ার পরে আজ বুঝি অর্কিড-ঘরে তাকে নিয়ে গিয়েছিলে ? আদিত্য। হাঁ, কিছু কাজ ছিল, ওকে বুঝিয়ে দিয়েই ছুটতে হল দোকানে। নীরজা! আচ্ছা, একটা কথা জিজ্ঞাসা করি, সরলার সঙ্গে রমেনের বিয়ে দাও না কেন ? আদিত্য। ঘটকালি কি আমার ব্যাবসা ? ? নীরজা। না, ঠাট্টা নয়। বিয়ে তো করতেই হবে, রমেনের মতো পাত্ৰ পাবে কোথায় % ৷ আদিত্য। পাত্ৰ আছে একদিকে, পাত্রী আছে আর-একদিকে, মাঝখানটাতে মন আছে কি না সে খবর নেবার ফুরসত, পাই নি। দূরের থেকে মনে হয় যেন ঐখানটাতেই খটকা । নীরজা। কোনো খটকা থাকত না যদি তোমার সত্যিকার আগ্রহ থাকত। আদিত্য। বিয়ে করবে। অন্যপক্ষ, সত্যিকার আগ্রহটিা থাকবে একা আমার, এটাতে কি কাজ চলে ? তুমি চেষ্টা দেখো-না। নীরজা। কিছুদিন গাছপালা থেকে ঐ মেয়েটার দৃষ্টিটাকে ছুটি দাও দেখি, ঠিক জায়গায় আপনি চোখ পড়বে।