পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NRKS & রবীন্দ্র-রচনাবলী সত্য দিয়ে ? তোমাদের মিলন কত কালের ; তখন কোথায় ছিল বাউদি ? সরলা। কী বলছি। রমেনদা! আপনি ইচ্ছের দোহাই দিয়ে এ কী আবদারের কথা ? আদিৎদার কথাও তো ভাবতে হবে। Ipis রমেন। হবে বৈকি। তুমি কি ভাবিছ যে-আঘাতে চমকিয়ে দিয়েছে তোমাকে সেই আঘাতটাই ऊँीक९४ लाए6 नेि ? আদিত্য। (পেছন থেকে) রমেন নাকি ? রমেন। হাঁ দাদা। আদিত্য। তোমার বউদি তোমাকে ডেকে পাঠিয়েছেন, আয় এসে এইমাত্র জানিয়ে গেল। আদিত্য। যেয়ে না। সরি, একটু বোসো।... আমরা দুজনে এ সংসারে জীবন আরম্ভ করেছিলেম একেবারে এক হয়ে। এত সহজ। আমাদের মিল যে, এর মধ্যে কোনো ভেদ কোনো কারণে ঘটতে পারে সে কথা মনে করাই অসম্ভব। তাই কি নয় সরি ? সরলা। অন্ধুরে যা এক থাকে, বেড়ে উঠে তা ভাগ হয়ে যায়। এ কথা না মেনে তো থাকবার জো নেই। আদিৎদা। আদিত্য। সে ভাগ তো বাইরে, কেবল চোখে দেখার ভাগ। অন্তরে তো প্রাণের মধ্যে ভাগ হয় না। আজ তোমাকে আমার কাছ থেকে সরিয়ে নেবার ধাক্কা এসেছে। আমাকে যে এত বেশি বাজবে এ আমি কোনোদিন ভাবতেই পারতুম না। সরি, তুমি কি জান, কী ধাক্কাটা এল। হঠাৎ আমাদের 'পরে ? সরলা। জানি ভাই, তুমি জানিবার আগে থাকতেই। আদিত্য ! সইতে পারবে সরি ? সরলা।। সইতেই হবে। আদিত্য। মেয়েদের সহ্য করবার শক্তি কি আমাদের চেয়ে বেশি, তাই ভাবি। সরলা। তোমরা পুরুষমানুষ দুঃখের সঙ্গে লড়াই করো, মেয়েরা যুগে যুগে দুঃখ কেবল সহ্যই করে। চোখের জল আর ধৈর্য এ ছাড়া আর তো কিছু সম্বল নেই তাদের। আদিত্য। তোমাকে আমার কাছ থেকে ছিড়ে নিয়ে যাবে এ আমি ঘটতে দেব না, দেব না। 6 अनाश, q निफ्रैंश् यनाश। বলে উত্তেজনায় হাতের মুঠি শক্ত করলে। সরলা কোলের উপর আদিত্যের হাতখানা নিয়ে তার উপরে ধীরে ধীরে হাত বুলিয়ে দিতে লাগল। বলে গেল যেন আপন মনে ধীরে ধীরে সরলা। ন্যায় অন্যায়ের কথা নয়। ভাই, সম্বন্ধের বন্ধন যখন ফাস হয়ে ওঠে তার ব্যথা বাজে নানা লোকের মধ্যে, টানাটনি পড়ে নানা দিক থেকে, কাকেই বা দোষ দেব ? আদিত্য। তুমি সহ্য করতে পারবে তা জানি। একদিনের কথা মনে পড়ছে। কী চুল ছিল তোমার, এখনো আছে। সেই চুলের গর্ব ছিল তোমার মনে। সবাই সেই গর্বে প্রশ্রয় দিত। একদিন ঝগড়া হল তোমার সঙ্গে। দুপুরবেলা বালিশের পরে চুল মেলে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলে। আমি