পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\OO রবীন্দ্র-রচনাবলী

  • ोछ ७ क्रांछि ዶ፦

“খানি খানা’। যেমন মােটের উপরে চওড়া জিনিসের পক্ষে, ‘গাছা।” তেমনি সরু জিনিসের পক্ষে। যেমন, ছাড়াগাছা, লাঠিগাছা, দড়িগাছা, সুতােগাছা, হারগাছা, মালাগাছা, চুড়িগাছা, মালগাছা, এই সংকেতের সঙ্গে যখন পুনশ্চ ‘টি’ও টাি' চিহ্ন যুক্ত হইয়া থাকে তখন 'গাছি, 'গাছা' শব্দের অন্তস্থিত ইকার আকার লুপ্ত হইয়া যায়। যথা, লাঠিগাছটা মালাগাছটা ইত্যাদি। - জীবাবাচক পদার্থ সম্বন্ধে ইহার ব্যবহার নাই। কেঁচোগাছি বলা চলে না। সরু জিনিস লম্বায় ছােটাে হইলে তাহার সম্বন্ধে ব্যবহার হয় না। দড়িগাছা, কিন্তু গােঁফগাছা নয়। শলাগাছটা, কিন্তু টুচগাছটা নয়। চুলগাছি যখন বলা হয় তখন লম্বাচুলই বুঝায়। যেখানে গাছি ও গাছ বসে সেখানে সর্বত্রই বিকল্পে টি ও টা বসিতে পারে— এবং কোনো কোনো স্থলে খানি ও খানা বসিতে পারে। कू টুকু শব্দ সংস্কৃত তনুক শব্দ হইতে উৎপন্ন। মৈথিলি সাহিত্যে তনুক শব্দ দেখিয়াছি। তিনিক’ এখনো হিন্দিতে ব্যবহৃত হয়। ইহার সগোত্র টুকরা’ শব্দ বাংলায় প্রচলিত আছে। টুকু স্বল্পতাবাচক। " - i সজীব পদার্থ সম্বন্ধে ইহার ব্যবহার নাই। ভেড়াটুকু গাধাটুকু হয় না। পরিহাসচ্ছলে মানুষটুকু বলা চলে। ক্ষুদ্রায়তন হইলেও এমন পদার্থ সম্বন্ধে ব্যবহৃত হয় না। যাহার বিশেষ গঠন আছে। যেমন ইয়ারিংটুকু বলা যায় না, সোনাটুকু বলা যায়। পদ্মটুকু বলা যায় না— চুনটুকু বলা যায়। পাগড়িটুকু বলা যায় না, রেশমটুকু বলা যায়। অর্থাৎ যাহাকে টুকরা করিলে তাহার বিশেষত্ব যায় না। তাহার সম্বন্ধেই টুকু’ ব্যবহার করা চলে। কাগজকে টুকরা করিলেও তাঁহা কাগজ, কাপড়কে টুকরা করিলেও তােহা কাপড়, এক পুকুর জলও জল, এক ফোটা জলও জল, এইজন্য কাগজটুকু কাপড়টুকু জলটুকু বলা যায়। কিন্তু চৌকিটুকু খািটটুকু বলা যায় না। . কিন্তু, এই ঐ সেই কত এত তত যত সর্বনামপদের সহিত যুক্ত করিয়া তাহাকে ক্ষুদ্রার্থক সকল বিশেষ্যপদের বিশেষণ রূপে ব্যবহার করা যায়। যেমন, এইটুকু মানুষ, ঐটুকু বাড়ি, ঐটুকু অরূপ পদার্থবাচক বিশেষ্যপদে ইহার ব্যবহার চলে। যেমন, হাওয়াটুকু, কৌশলটুকু, ভারটুকু, সন্ন্যাসী ঠাকুরের রাগটুকু। - অন্যান্য নির্দেশক চিহের ন্যায় ‘এক” বিশেষণ শব্দের সহিত যুক্ত হইয়া ইহা ব্যবহৃত হয়— কিন্তু দুই তিন প্রভৃতি অন্য সংখ্যার সহিত ইহার যোগ নাই। দুইটা, দুইখানি, দুইগাছি হয়। কিন্তু দুইটুকু তিনটুকু হয় না। “এক” শব্দের সহিত যোগ হইলে টুকু বিকল্পে টু হয়, যথা একটু। অন্যত্র কোথাও এরূপ হয় না। এই ‘একটু” শব্দের সহিত “খানি’ যোজনা করা যায়- যথা, একটুখানি বা একটুকুখনি। এখানে “খান” চলে না। অন্যত্র, যেখানে টুকু বসিতে পারে সেখানে কোথাও ୪୩fୋଗ ଧ୪Sty .