পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8の8 রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী 8 লেখক মহাশয় (উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী]] সেনট্রপীটাল ও সেনট্ৰফুগাল ফোর্স-কে কেন্দ্রাভিসারিণী ও কেন্দ্ৰাপগামিনী শক্তি বলিয়াছেন— কেন্দ্রানুগ এবং কেন্দ্রাতিগ শক্তি আমাদের মতে সংক্ষিপ্ত ও সংগত।” · Sxoobr (ł লেখক মহাশয় ইংরেজি ফসিল শব্দের বাংলা করিয়াছেন ‘প্রস্তরীভূত কঙ্কাল’। কিন্তু উদ্ভিদ পদার্থের ফসিল সম্বন্ধে কঙ্কাল শব্দের প্রয়োগ কেমন করিয়া হইবে। “পাতার কঙ্কাল।” ঠিক বাংলা হয় না।... ফসিলের প্রতিশব্দ শিলাব্যিকর হইতে পারে, এরাপ মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছিলাম। কিন্তু মহলানবিশ মহাশয়ের সহিত আলোচনা করিয়া দেখিয়াছি শিলবিকার’ metamorphosed rock-এর উপযুক্ত ভাষান্তর হয়, এবং জীবশিলা শব্দ ফসিলের প্রতিশব্দরূপে ব্যবহৃত হইতে পারে। ২ Suor W বাংলার বৈজ্ঞানিক পরিভাষা স্থির হয় নাই, অতএব পরিভাষার প্রয়োগ লইয়া আলোচনা কর্তব্য, কিন্তু বিবাদ করা অসংগত। ইংরেজি মিটিয়ারলজির বাংলা-প্রতিশব্দ এখনো প্রচলিত হয় নাই, সুতরাং জগদানন্দবাবু যদি আপ্তের সংস্কৃত অভিধানের দৃষ্টান্তে বায়ুনভোবিদ্যা” ব্যবহার করিয়া কাজ চালাইয়া থাকেন, তঁহাকে দোষ দিতে পারি না। যোগেশবাবু আবহ’ শব্দ কোনো প্রাচীন গ্রন্থ হইতে উদ্ধার করিয়াছেন, তাহার অর্থ ভুবায়ু। কিন্তু এই ভুবায়ু বলিতে প্রাচীনেরা কী বুঝিতেন, এবং তাহা আধুনিক অ্যাটুমসফিয়ার শব্দের প্রতিশব্দ কি না, তাহা বিশেষরূপে প্রমাণের অপেক্ষা রাখে- এক কথায় ইহার মীমাংসা হয় না। অগ্ৰে সেই প্রমাণ উপস্থিত না করিয়া জোর করিয়া কিছু বলা যায় না। শকুন্তলার সপ্তম অঙ্কে দুৰ্য্যন্ত যখন স্বৰ্গলোক হইতে মর্ত্যে অবতরণ করিতেছেন, তখন মাতলিকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “এখন আমরা কোন বায়ুর অধিকারে আসিয়াছি।” মাতলি উত্তর করিলেন, “গগনবর্তিনী মন্দাকিনী যেখানে বহমান, চক্রবিভক্ত রশ্মি জ্যোতিষ্ক লোক যেখানে বর্তমান, বামনবেশধারী হরির দ্বিতীয় চরণপাতে পবিত্র এই স্থান ধূলিশূন্য প্রবাহবায়ুর মার্গ।” দেখা যাইতেছে, প্রাচীনকালে ‘প্রবাহ’ প্ৰভৃতি বায়ুর নাম তৎকালীন একটি কাল্পনিক বিশ্বতত্ত্বের মধ্যে প্রচলিত ছিল- সেগুলি একটি বিশেষ শাস্ত্রের পরিভাবিক প্রয়োগ। দেবীপুরাণে প্রাবাহো নিবহিশ্চৈব উদ্ধহঃ সংবহন্তস্থা বিবাহঃ প্ৰবাহশ্চৈব পরিবাহস্তথৈব চ অন্তরীক্ষে চাবাহ্যে তে পৃথঙমাৰ্গবিচারিণঃ। ১ মাসিক সাহিত্য সমালোচনা, বঙ্গদর্শন, বৈশাখ ১৩০৮, পৃ. ৬৫ ৷৷ ২ মাসিক সাহিত্য সমালোচনা, বঙ্গদর্শন, আষাঢ় ১৩০৮, পৃ. ১৪৭