পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8GS রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী এমন অধিকার তঁরা দিয়েছেন। ভিন্ন ভিন্ন পরীক্ষক নিজেদের বিশেষ রুচি ও অভ্যাস-অনুসারে ছাত্রদের বানান প্রভৃতির। যদি বিচার করেন তবে পরীক্ষার্থীদের প্রতি গুরুতর অবিচারের আশঙ্কা আছে- নিবিচারে যথেচ্ছাচারের প্রশ্রয় দেওয়াও চলবে না। এই গুরুতর বিষয় প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার উপযোগী আমার শরীরের অবস্থা নয়। সংক্ষেপে আমার বক্তব্যের আভাসমাত্র দিলেম। ১ રે છે সেপ্টেম্বর Yა პ\Š, (č 6. প্রাকৃত বাংলার বানান সম্বন্ধে আজ পর্যন্ত কোনো চরম অভ্যাসে আসতে পারি নি। তাড়াতাড়িতে অমনোযোগ তার একটি কারণ। তা ছাড়া বই ছপাবার সময় প্রািফ দেখার সম্যক ভার নিজে নেবার মতো ধৈর্য বা শক্তি বা সময় নেই- কাজেই আমার ছাপা বইগুলিতে বানান সম্বন্ধে সুনির্দিষ্টতার পরিচয় পাওয়া যায় না। এই কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহায্য দাবি করেছিলুম। তঁরা দশে মিলে যেটা স্থির করে দেবেন। সেটা নিয়ে আর দ্বিধা করব না। ’ ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬ । や আমাদের সাহিত্যে প্রাকৃত বাংলার প্রচলন প্রতিদিন বেড়ে উঠেছে। সেই বাংলায় বানান সম্বন্ধে কোনো আইন নেই, তাই স্বেচ্ছাচারের অরাজকতা চলেছে। যারা হবেন প্রথম আইনকর্তা তাদের বিধান অনিন্দনীয় হতেই পারে না, তবু উচ্ছঙ্খলতার বাঁধ বেঁধে দেবার কাজ তো শুরু করতেই হবে। সেইজন্যে বিশ্ববিদ্যালয়েরই শরণ নিতে হল। কালক্রমে তাদের নিয়মের অনেক পরিবর্তন ঘটবে সন্দেহ নেই, কিন্তু সেই পরিবর্তনের গতি একটা সুচিন্তিত পথ অনুসরণ যদি না করে তা হলে অব্যবস্থার অন্ত থাকবে না। নদীর তট বাধা আছে। তবু তার বাঁক পরিবর্তন হয়, কিন্তু তট না থাকলে তার নদীত্বই ঘুচিবে, সে হবে জলা। আমার প্রদেশের নাম আমি লিখি বাংলা । হসন্ত ঙ-র চিহ্ন ংি। যেমন হসন্ত ত-য়ের চিহ্ন ৎ ! “বাঙ্গলা” মুখে বলি নে লিখতেও চাই নে। যুক্তবর্ণাঙ্গ-এ হসন্ত চিহ্ন নিরর্থক। ওঁ-র সঙ্গে হসন্ত চিহ্ন দেওয়া চলে, কিন্তু দরকার কী, হসন্ত চিহ্ন যুক্ত ঙ-র স্বকীয়রূপ তো বর্ণমালায় আছে- সেই অনুস্বরকে আমি মেনে নিয়ে থাকি।” us turb Y ese শব্দতত্ত্ব গ্রন্থে লেখায় চিহ্ন বর্জন সম্বন্ধে আমার মত প্রকাশ করেছি। নিত্য-ব্যবহারে আমার এ মত চলবে না তা জানি। এটা একটা আলোচনার বিষয় মাত্র। চিহ্নগুলোর প্রতি অতিমাত্র নির্ভরপরতা ১. চারুচন্দ্র ভট্টাচার্যকে লিখিত পত্র ২. দিলীপকুমার রায়কে লিখিত পত্র ৩. কানাইলাল গঙ্গোপাধ্যায়কে লিখিত পত্ৰ