পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 V8 রবীন্দ্র-রচনাবলী ধরা পড়ে। সুর তাল অবিকল রক্ষিত হইয়াও অনেক সময় বাংলা গান কেমন ‘রোথো” রকম শুনিতে হয়। হিন্দুস্থানীর polite ‘আ’ উচ্চারণ বাংলায় vulgar ‘অ’ উচ্চারণে পরিণত হইয়া এই ভাবান্তর সংঘটন করে। ‘আ’ উচ্চারণের মধ্যে একটি বেশ নির্লিপ্ত ভদ্র suggestive ভােব আছে, আর ‘অ’ উচ্চারণ নিতান্ত গাঘেঁষা সংকীর্ণ এবং দরিদ্র। কাশীর সংস্কৃত উচ্চারণ শুনিলে এই প্ৰভেদ সহজেই উপলব্ধি হয়। ] : , , উপরের প্যারাগ্রাফে এক স্থলে commonplace শব্দ বাংলায় ব্যক্ত করিতে গিয়া “রোথো শব্দ ব্যবহার করিয়াছি। কিন্তু উক্ত শব্দ ব্যবহার করিতে কেমন কুষ্ঠিত বোধ করিতেছিলাম। সকল ভাষাতেই গ্রাম্য ইতর শব্দ আছে। কিন্তু দেখিয়াছি বাংলায় বিশেষ ভাবপ্রকাশক শব্দমাত্রই গ্ৰাম্য। তাহাতে ভােব ছবির মতো ব্যক্ত করে বটে। কিন্তু সেইসঙ্গে আরো একটা কী করে যাহা সংকোচজনক। Smile শব্দ বাংলায় ব্যক্ত করিতে হইলে হয় মুচুকে হাসি' নয় ঈষদ্ধাস্য’ বলিতে হইবে। কিন্তু মুচকে হাসি’ সাধারণত মনের মধ্যে যে ছবি আনয়ন করে তাহা বিশুদ্ধ smile নহে, ঈষদ্ধাস্য কোনো ছবি আনয়ন করে কি না সন্দেহ। Peep শব্দকে বাংলায় উকিমারা’ বলিতে হয়। Creep শব্দকে “গুড়িমারা’ বলিতে হয়। কিন্তু উকিমারা” “গুড়িমারা’ শব্দ ভাবপ্রকাশক হইলেও সর্বত্র ব্যবহারযোগ্য নহে। কারণ উক্ত, শব্দগুলিতে আমাদের মনে এমন-সকল ছবি আনয়ন করে যাহার সহিত কোনো মহৎ বর্ণনার যোগসাধন করিতে পারা যায় না। হিন্দুস্থানী বা মুসলমানদের মধ্যে একটা আদব-কায়দা আছে। একজন হিন্দুস্থানী বা মুসলমান ভূত্য দিনের মধ্যে প্রভুর সহিত প্রথম সাক্ষাৎ হইবা মাত্রই যে সেলােম অথবা নমস্কার করে তাহার কারণ এমন নহে যে, তাহদের মনে বাঙালি ভূতের অপেক্ষা অধিক দাস্যভােব আছে, কিন্তু তাহার কারণ এই যে, সভ্যসমাজের সহস্রবিধ সম্বন্ধের ইতিকর্তব্যতা বিষয়ে তাহারা নিরলস ও সতর্ক। প্রভুর নিকট তাহারা পরিচ্ছন্ন পরিপটি থাকিবে, মাথায় পাগড়ি পরিবে, বিনীত ভাব রক্ষা সময়ে যাহাকে স্বাধীন ভাব মনে করি তাহা অশিক্ষিত অসভ্য ভাব। অনেক সময়ে আমাদের এই অশিক্ষিত ও বর্বর ভাব দেখিয়াই ইংরাজেরা আমাদের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়, অথচ আমরা মনে মনে গর্ব করি যেন প্রভুকে যথাযোগ্য সম্মান না দেখাইয়া আমরা ভারি একটা কেল্লা ফতে করিয়া আসিলাম। এই অশিক্ষা ও অনাচারবশত আমাদের দৈনিক ভাষা ও কাজের মধ্যে - একটি সুমার্জিত সুষমা একটি শ্ৰী লক্ষিত হয় না। আমরা কেমন যেন ‘আট-পীেরে’ ‘গায়েপড়া” ‘ফেলাছড়া” ঢিলেঢালা” নড়বোড়ে' রকমের জাত, পৃথিবীর কাজেও লাগি না, পৃথিবীর শোভাও সাধন করি না। " | RR 3-för Svirt R ংলা ভাষায় কবিতা রচনা করিতে গিয়া একটি প্রধান ব্যাঘাত এই দেখিতে পাই, বাংলা ভাষায় ছবি আঁকা শব্দ অতি অল্প। কেবল উপরি-উপরি মোটামুটি একটা বৰ্ণনা করা যায় মাত্র, কিন্তু একটা জাম্বল্যমান মূর্তি ফুটাইয়া তুলা যায় না। লেখকের ক্ষমতার অভাব তাহার একমাত্র কারণ DBBDBSDDYS TD SBuS LDB BBBBBB BDBB BB BTT TB BDDLSSSA LLLLLLLLS LLLLLLS LLLLLLLLS