পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

व९ला भक्षरछसू Sr. প্রত্যুত্তর-‘লীলা-কমল কোথা হইতে আসিল ? তাহা ঠিক বলিতে পারি না, তবে এই পর্যন্ত বলিতে পারি যে তাহা আনাইতে কবির এক ফোটার অধিক কালি খরচ হইয়াছিল কি না সন্দেহ। চণ্ডীদাসের এক স্থানে আছে- ‘চলে নীল শাড়ি নিঙ্গাড়ি নিঙ্গাড়ি, পরাণ সহিতে মোর।” লেখক তো জিজ্ঞাসা করিতে পারেন, নীল শাড়ি কোথা হইতে আসিল? ঢাকা হইতে না বারাণসী হইতে ?’ চণ্ডীদাসের সেটা লেখা উচিত ছিল, সন্দেহ নাই, কিন্তু সে বিষয়ে চণ্ডীদাসের হইয়া একটা কথা বলা যায়। এ পর্যন্ত অনেক কবি নীল শাড়ি ও লীলাকমলের অপেক্ষাও অনেক দামী দূস্প্রাপ্য জিনিস কাবো আনিয়াছেন, কিন্তু কোন দোকান হইতে আনাইয়াছেন, পাঠকদের উপকারার্থ তাহা লিখিয়া দেন নাই। সংস্কৃত কাব্যে সহস্ৰ স্থানে লীলা-কমলের দ্বারা ভ্ৰমর তাড়াইবার উল্লেখ আছে। ' . উত্তর “যব গোধূলি সময় বেলি ধনি মন্দির বাহির ভেলি, নব জলধরে বিজুরী-রেখা দ্বন্দ্ৰ পসারিয়া গেলি।” এ পদের সম্পাদকীয় টাকাই আমাদের মতে পরিষ্কার ও ভাব-ব্যঞ্জক হইয়াছে। প্রবন্ধ-লেখক যে অর্থ করিয়াছেন তাহা পরিষ্কার হয় নাই। তিনি লিখিয়াছেন, “রাধা গোধূলির ঈষৎ অন্ধকারে মন্দিরের বাহির হইলেন। যেন নব জলধরে বিদ্যুৎ রেখা দ্বন্দ্ব বিস্তার করিয়া গেল ?” “দ্বন্দ্ব’ শব্দের এখানে অর্থ কী? কাহার সহিত দ্বন্দ্ব করিয়া গেল? সম্পাদক এই স্থানে পুন’ শব্দ পরিত্যাগ করায় ও ‘যেন” শব্দ নিজ গৃহ হইতে দেওয়ায় প্রবন্ধ-লেখক তাহার নিকট কৈফিয়ৎ চাহিয়াছেন। কিন্তু তিনি এক্ষণে যেন’ ঘর হইতে দিয়াছেন এবং দ্বন্দ্ব কথাটির যথোচিত সম্মান রক্ষা করেন নাই! অনাকে যে জন্য নিন্দা করিলাম নিজে সেই কার্যটি করিলে গভীর বুদ্ধির পরিচয় দেওয়া হয় না। कोशां६ প্রত্যুত্তর- সম্পাদকীয় টীকা উদধূত করি— ‘বিদ্যুৎ-রেখার সহিত দ্বন্দ্ব বিস্তার করিয়া গেল। অর্থাৎ তাহার সমান বা অধিক লবণাময়ী হইল।” এখানে সহিত' শব্দ যোজনা করা যে নিতান্ত জোর-জবরদস্তির কাজ হইয়াছে, তাহা কেহ অস্বীকার করিতে পারেন না। আমার অর্থ এই যেঅন্ধকারের কৃষ্ণবর্ণ ও রাধিকার গৌরবর্ণ মিলিয়া কেমন হইল, যেমন নবজলধরের সহিত বিদ্যুৎরেখার বিবাদ বিস্তুত হইল। যদি বলি ঈশ্বরে আমি গ্ৰীতি স্থাপন করিলাম’ তাহা হইলে বুঝায়, ঈশ্বরের সহিত আমি প্রীতি করিলাম ; তেমনি জলধরে বিদ্যুৎ বিবাদ বিস্তার করিলা’ অর্থে বুঝায়, জলধরের সহিত বিদ্যুৎ বিবাদ করিল। শ্ৰীীরঃ উত্তর “এ সখি কি পেখনু এক অপরূপ। শুনাইতে মানবি স্বপন স্বরূপ ৷ শাখা-শিখর সুধাকর পতি। তাহে নব পাল্লাবে অরুণক ভাতি । ,