পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Str8 রবীন্দ্র-রচনাবলী তা পর চঞ্চল খঞ্জন যোড়। " তা পর সাপিনী ঝাপল মোড়। : ২০-সংখ্যক গীত । প্রবন্ধ-লেখক ইহার মধ্যস্থ দুই চরণের এই অর্থ দিয়াছেন। “সে তমাল তরুর শাখা শিখর অর্থাৎ মুখ, সুধাকর। লাবণ্যই বােধ করি অরুণ ভাতির পল্লবে।’ পাতি শব্দটি কোথায় গেল? লাবণ্যই বোধ করি-' ইত্যাদি এই ছত্রের অর্থ আমরা বুঝিতে পারিলাম না। তু্যত্তর-“বোধ করি’ শব্দ ব্যবহার করিবার তাৎপর্য এই যে, যেখানে অর্থ বােধে মনে কোনো প্রকার সন্দেহ থাকে। সেখানে আমি অসংকুচিত ও অসন্দিগ্ধ ভাব দেখাইতে পারি না। এ অপরাধের যদি কোনো শাস্তি থাকে, তবে তাহা বহন করিতে রাজি আছি। উত্তর— আর হাস্য স্থির বাস করে” কিরূপ বাংলা? শ্ৰীকৃষ্ণের কুন্তল সাপিনীর ন্যায়ই বা কি প্রকারে হইল ? শ্ৰীকৃষ্ণের চুড়ার কথাই শুনিয়াছি। আমরা যে ব্যক্তির নিকট এই গীতটির ব্যাখ্যা শুনিয়াছি তিনি ইহার আদিরস-ঘটিত ব্যাখ্যা করিয়াছিলেন। সম্ভবত সেইজন্যই ইহার অর্থ শ্ৰীযোঃ প্রত্যুত্তর- শ্ৰীকৃষ্ণের শরীর বর্ণনা করা ভিন্ন অন্য কোনাে প্রকার গুঢ় আদিরস-ঘটিত অর্থ বুঝানো কবির অভিপ্রেত ছিল, তাহা আমি কোনো মতেই বিশ্বাস করিতে পারি না। 'চঞ্চল খঞ্জন’ “যুগল বিম্বফল” প্রভৃতি শব্দ প্রয়োগ দেখিয়া রূপ-বৰ্ণনা বলিয়াই স্পষ্ট অনুমান হইতেছে। শ্ৰীীরঃ 西ā一 ‘গগন সঘন, মহী পঙ্কা বিঘিনি বিথ্যারিত ইত্যাদি।” এই পদে দুই-একটি ছাপাের ভুল আছে। “ভুললি” স্থানে ভুলালি’ ও ‘মানবি।” স্থানে ‘মানব’ হইবে। তাহা হইলেই সম্পাদকের অর্থ থাকিয়া যাইবে। আশ্চর্যের বিষয়, যে, প্ৰবন্ধ-লেখক একটু চিন্তা করিয়া দেখেন নাই, সম্পাদক এ অর্থ দিলেন কেন। একেবারে সম্পাদকের অর্থকে ভুল করল । শ্ৰীযোঃ প্রত্যুত্তর-আশ্চর্যের বিষয় যে প্রবন্ধ-লেখক একটু চিন্তা করিয়া দেখেন নাই, যে, মূলে ও টীকায় উভয় স্থলেই অবিকল একই রূপ ছাপার ভুল থাকা সম্ভব কি না? টীকার বন্ধনী-চিহ্নের মধ্যে যে কথাগুলি উদধূত আছে সেগুলির প্রতি লেখক একবার যেন দৃষ্টিপাত করেন। উত্তর-পিণ্ডন শব্দের টীকা না করিয়া প্রবন্ধ-লেখক যে টিপ্লনী করিয়াছেন, আমাদের চক্ষে তাহা ভালো লাগিল না। সম্পাদক-কৃত অর্থ ভালো না হওয়ায় প্রবন্ধ-লেখক যেন আনন্দিত