পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ტ(z\ტ রবীন্দ্র-রচনাবলী সকলের সম্মুখে উপস্থিত করিতেছি - ক্ষিতিমোহনের সাক্ষ্য অনুযায়ী সেই অনুবাদগুলি (১১টি অনুবাদ) রূপান্তরের সূচনায় গ্রথিত হইয়াছে। এখানে উল্লেখ করা চলে যে, গীতাঞ্জলির পাণ্ডুলিপির কোনো কোনো পৃষ্ঠায় রবীন্দ্রনাথ এই অনুবাদগুলি করিয়া রাখিয়াছিলেন। , পূর্বোল্লিখিত এগারোটি অনুবাদ ও সেগুলির উৎসনির্দেশ নিম্নরূপ : তুমি আমাদের পিতা। শুক্ল যজুর্বেদ বাজসনেয়ি সংহিতার বিভিন্ন অধ্যায় হইতে সংগৃহীত। যিনি অগ্নিতে যিনি জলে। শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ। র্যা হতে বাহিরে ছড়ায়ে পড়িছে। শুক্ল যজুর্বেদ এবং ঋগবেদ হইতে সংকলিত १ी भव । সত্যরূপেতে আছেন সকল ঠাই। তৈত্তিরীয়, মুণ্ডক উপনিষদ। আপনারে দেন যিনি । ঋগবেদ। বিভিন্ন স্থল হইতে সংগৃহীত। যদি ঝড়ের মেঘের মতো আমি ধাই।। ঋগবেদ। সপ্তম মণ্ডল। হে বরুণদেব। ঋগবেদ। সপ্তম মণ্ডল। হে বরুণ, তুমি দূর করো হে। ঋগবেদ। দ্বিতীয় মণ্ডল। সকল ঈশ্বরের পরমেশ্বর। শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ। চতুর্থ ও ষষ্ঠ অধ্যায়। শুভ্ৰ কায়াহীন নির্বিকার। ঈশোপনিষদ। অন্তরীক্ষ আমাদের হউক অভয়। অথর্ববেদ । আত্মদা বলদ যিনি। পাঠান্তর ৫ । পৃ ৯৩। তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার ১৮১৫ শক (১৮৯৪ খৃঃ), ফায়ুন সংখ্যায় বিনা নামে প্রকাশিত হইলেও সূচীপত্রে রবীন্দ্রনাথের নাম আছে। শোনো বিশ্বজন। পৃ. ৯৯ ৷ নৈবেদ্য কাব্যের ৬০-সংখ্যক কবিতার অংশ। সত্যকাম জাবাল। পৃ. ৯৯। ছান্দোগ্য উপনিষদের সত্যকাম-কাহিনী অবলম্বনে লিখিত। চিত্রা কাব্যের ব্রাহ্মণ’ কবিতার উল্লেখ আছে ক্ষিতিমোহনের প্রবন্ধে। রবীন্দ্রনাথ পরবর্তীকালে এই কাহিনীর অংশবিশেষের যে অনুবাদ করেন, তা বিশ্বভারতী পত্রিকার শ্রাবণ্য-আশ্বিন ১৩৬৯ সংখ্যায় (ছন্দ-কণিকা ১২) প্রকাশিত হয়। এখানে সেই অনুবাদটি সংকলিত হইল। ফুল্লশাখা যেমন মধুমতী। পৃ. ১০০ । নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা হইতে ১৪, ১৫, ১৬ -সংখ্যক অনুবাদ গৃহীত। মূল আছে। অথর্ববেদে । যেমন আমি সর্বসহা শক্তিমতী। পৃ. ১০১ । পাণ্ডুলিপি হইতে গৃহীত ; সম্ভবত ‘চিত্রাঙ্গদার জন্য রচিত। ξεση সংকলিত কবিতাগুলি বিশ্বভারতী পত্রিকার শ্রাবণ্য-আশ্বিন ১৩৫৫ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। এর অংশবিশেষ, ১৩৫১ সালের শারদীয়া আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত। সেখান হইতে জানা যায়, চারুচন্দ্ৰ বসু-সম্পাদিত ‘ধৰ্ম্মপদ গ্রন্থের গদ্যানুবাদ প্রকাশিত হইলে রবীন্দ্রনাথ বঙ্গদর্শন’ পত্রে (১৩১২) গ্রন্থটির প্রশংসা করেন। সম্ভবত এই সময়েই, ওই গ্রন্থের মার্জিনে রবীন্দ্রনাথ কিছু অনুবাদও করিয়া রাখেন। এই অনুবাদগুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শ্ৰীনির্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় চৈত্র ১৩৪৯। প্রবাসী পত্রিকায়। এর পর সমীরচন্দ্র মজুমদারের সহযোগিতায় অনুবাদগুলির উদ্ধার করা সম্ভব হয়। শান্তিনিকেতন রবীন্দ্রভবনে মূল পাণ্ডুলিপি রক্ষিত আছে।